ইব্রাহিম আঃ এর কোরবানির ইতিহাস । কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি

প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই ইব্রাহিম আঃ এর কোরবানির ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাই আজকে আমরা আপনাদের সামনে ইব্রাহিম আঃ এর জীবনী , ইব্রাহিম আঃ এর কোরবানির ইতিহাস এবং কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি সে সম্পর্কে আলোচনা করব।
ইব্রাহিম আঃ এর কোরবানির ইতিহাস । কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি
আমরা সকলেই হযরত ইব্রাহিম আঃ এর নাম শুনেছি । কিন্তু আমরা ইব্রাহিম আঃ এর জীবনী কিংবা ইব্রাহিম আঃ এর কোরবানির ইতিহাস সম্পর্কে জানিনা। তাই প্রিয় পাঠক ইব্রাহিম আঃ এর কোরবানির ইতিহাস এবং কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি তা জানার জন্য আমাদের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ইব্রাহিম আঃ এর জীবনী । ইব্রাহিম আঃ এর কোরবানির ইতিহাস । কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত ২৫ জন নবীর মধ্যে অন্যতম একজন হলেন হযরত ইব্রাহিম আঃ । তার নাম পবিত্র কুরআনে অসংখ্য বার এসেছে একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের সকলেরই উচিত তার সম্পর্কে জানা।

ইব্রাহিম আঃ এর জীবনী

ইসলাম ধর্মের একজন গুরুত্বপূর্ণ নবী এবং রাসূল হচ্ছেন হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সাল্লাম। মুসলমান ছড়াও ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মেও তিনি অত্যন্ত সম্মানিত এবং পবিত্র একজন ব্যক্তি। হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সাল্লাম ইরাকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতার নাম ছিল আজর। আজর ছিলেন একজন মূর্তিপূজক। তিনি তৎকালীন কুখ্যাত বাদশা নমরুদের একজন মন্ত্রী ছিলেন।
ইব্রাহিম আঃ এর দুইজন স্ত্রী ছিলেন একজনের নাম বিবি হাজেরা (আ.) এবং অন্যজনের নাম বিবি সারাহ (আ.) । ইব্রাহিম আঃ এর দুইজন পুত্র ছিলেন একজন হযরত ইসমাইল (আ.) এবং অন্যজন হযরত ইসহাক (আ.)। এর হযরত ইসমাইল (আ.) এর বংশেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

পবিত্র কোরআনে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে মুসলিম জাতির পিতা হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে। ইব্রাহিম (আ.) ও হযরত ইসমাইল (আ.) এর স্মরণে আজও সমগ্র বিশ্বের মুসলমানরা পবিত্র ঈদুল আযহা পালন করে থাকে যা কুরবানি ঈদ নামে পরিচিত।
এছাড়াও, সর্বপ্রথম মিসওয়াকের বিধান, পেশাব পায়খানার পর পানি দ্বারা পরিষ্কার হওয়া , সুন্নতে খতনা করা এবং হজের বিধান চালু করেন হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম। হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর পবিত্র রওজা শরীফ ফিলিস্তিনের হেবরন শহরের ইব্রাহিমি মসজিদে অবস্থিত।

ইব্রাহিম আঃ এর কোরবানির ইতিহাস

কুরআন মাজীদের বর্ণনার আলোকে মুসলমানদের ঐতিহ্যবাহী কোরবানির ইতিহাস প্রতীয়মান হয়। হযরত ইব্রাহীম (আ.) এবং তাঁর স্নেহের পুত্র হযরত ইসমাঈল (আ.)-এর মাধ্যমে এই কোরবানির ইতিহাসের সূচনা হয়।

ঘটনার সূত্রপাত হলো, হযরত ইব্রাহীম (আ.) দেশবাসীর পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ নিরাশ হয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর ভাগিনেয় লুত (আ.) ব্যতীত কেউ তাঁর কথায় বিশ্বাস স্থাপন করেনি। তাই তিনি আল্লাহর নির্দেশে সেখান থেকে হিজরতের ইচ্ছা করলেন।
সেজন্য তিনি পত্নী সারা ও ভাগিনেয় হযরত লূত (আ.)-কে সাথে নিয়ে গেলেন এবং ইরাকের বিভিন্ন অঞ্চল অতিক্রম করে অবশেষে সিরিয়ায় পৌঁছলেন। তখন পর্যন্ত হযরত ইব্রাহীম (আ.)-এর কোনো সন্তান ছিল না। তাই তিনি আল্লাহ তা'আলার নিকট দোয়া করলেন - রাব্বি হাবলী মিনাসালিহীন অর্থাৎ “হে পরওয়ারদেগার,আমাকে সৎপুত্র দান করো।”

তাঁর এ দোয়া কবুল হয় এবং আল্লাহ তা'আলা তাঁকে এক সুপুত্রের সুসংবাদ দেন। ফাবাশশারনা-ই বিগুলা-মিন হালীম অর্থাৎ “অতঃপর আমি তাঁকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দিলাম।” 'সহনশীল' বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, এ নবজাত তার জীবনে সবর, ধৈর্য ও সহনশীলতার এমন পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করবে, যার দৃষ্টান্ত দুনিয়ার কেউ পেশ করতে পারবে না।
এ পুত্রের জন্মলাভের ঘটনা এই যে, হযরত সারা যখন দেখলেন যে, তাঁর গর্ভে কোনো সন্তান হচ্ছে না, তখন তিনি নিজেকে বন্ধ্যাই মনে করলেন। এদিকে মিশরের সম্রাট  তার হাজেরা নামের কন্যাকে হযরত সারার খেদমতের জন্যে প্রদান করেছিল। হযরত সারা হাজেরাকে হযরত ইবরাহীম (আ.)-এর খেদমতে দিয়ে দিলেন। অতঃপর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। হযরত হাজেরার গর্ভেই ইসমাইল আঃ জন্মগ্রহণ করেন।

ফালাম্মা বালাগা মা'আহুস্ সা‘ইয়া কালা ইয়াবুনাইয়্যা ইন্নী আরা ফিল মানামি আন্নী আযবাহুকা । অর্থাৎ “অতঃপর যখন পুত্র পিতার সাথে চলাফেরা করার মতো বয়সে উপনীত হলো, তখন ইব্রাহীম (আ.) বললেন, বৎস! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে জবাই করছি।” কোনো কোনো রেওয়ায়ত থেকে জানা যায় যে, এই স্বপ্ন হযরত ইবরাহীম (আ.)-কে উপর্যুপরি ০৩ দিন দেখানো হয়। ----কুরতুবী
এ কথা  সত্য যে, নবীগণের স্বপ্নও ওহীই বটে । তাই এ স্বপ্নের অর্থ ছিল এই যে, আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে ইবরাহীম (আ.)-এর প্রতি একমাত্র পুত্রকে জবাই করার হুকুম হয়েছে। এ হুকুমটি সরাসরি কোনো ফেরেশতার মাধ্যমেও নাজেল করা যেতো, কিন্তু স্বপ্নে দেখানোর তাৎপর্য হযরত ইব্রাহীম (আ.)-এর আনুগত্য পূর্ণ মাত্রায় প্রকাশ পাওয়া। 

স্বপ্নের মাধ্যমেও প্রদত্ত আদেশে মানব মনের পক্ষে ভিন্ন অর্থ করার যথেষ্ট অবকাশ ছিল; কিন্তু ইব্রাহীম (আ.) ভিন্ন অর্থের পথ অবলম্বন করার পরিবর্তে আল্লাহর আদেশের সামনে মাথা নত করে দেন। তা ছাড়া এখানে আল্লাহ তা'আলার প্রকৃতপক্ষে লক্ষ্য হযরত ইসমাঈল (আ.)-কে জবাই করা ছিল না কিংবা ইবরাহীম (আ.)-কেও এ আদেশ দেওয়া ছিল না যে, প্রাণপ্রতিম পুত্রকেই জবাই করে ফেল ; বরং উদ্দেশ্য ছিল যে, নিজের পক্ষ থেকে জবাই করার সমস্ত আয়োজন সমাপ্ত করে জবাই করতে উদ্যত হয়ে যাও।
বস্তুত এ নির্দেশ সরাসরি মৌখিক দেওয়া হলে তাতে পরীক্ষা হতো না, তাই তাঁকে স্বপ্নে দেখানো হয়েছে যে, তিনি পুত্রকে জবাই করছেন। এতে হযরত ইব্রাহীম (আ.) বুঝে নিলেন যে, জবাই করার নির্দেশ হয়েছে এবং তিনি জবাই করতে পুরোপুরি প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন। এভাবে পরীক্ষাও পূর্ণতা লাভ করল এবং স্বপ্নও সত্যে পরিণত হলো।

অথচ মৌখিক আদেশের মাধ্যম হলে তাতে পরীক্ষা হতো না । অথবা পরে রহিত এখানে করতে হতো। এ বিষয়টি কত যে ভীষণ পরীক্ষা সেদিকে ইঙ্গিত করার জন্যে কথাগুলো সংযুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ অনেক কামনা-বাসনা ও দোয়া-প্রার্থনার পর পাওয়া এই প্রাণপ্রতিম পুত্রকে কোরবানি করার নির্দেশ এমন সময় দেওয়া হয়েছিল, যখন পুত্র পিতার সাথে চলাফেরার যোগ্য হয়ে গিয়েছিল এবং লালন-পালনের দীর্ঘ কষ্ট সহ্য করার পর এখন সময় এসেছিল আপদে-বিপদে তাঁর পার্শ্বে দাঁড়ানোর।

তফসীরবিদগণ লিখেছেন যে, সে সময় হযরত ইসমাঈল (আ.)-এর বয়স ছিল তেরো বছর। কেউ কেউ বলেন যে, তিনি সাবালক হয়ে গিয়েছিলেন। ------মাযহারী। অর্থাৎ “অতএব তুমিও ভেবে দেখো, তোমার অভিমত কি?” হযরত ইব্রাহীম (আ.) এ কথা হযরত ইসমাঈল (আ.)-কে এ জন্যে জিজ্ঞেস করেননি যে, তিনি আল্লাহর নির্দেশ পালনে কোনোরূপ সন্দিগ্ধ ছিলেন; বরং প্রথমত তিনি পুত্রের পরীক্ষাও নিতে চেয়েছিলেন যে, এ পরীক্ষায় সে কতদূর উত্তীর্ণ হয়?
দ্বিতীয়ত পয়গম্বরগণের চিরন্তন কর্মপদ্ধতি এই যে, তাঁরা আল্লাহর আদেশ পালনের জন্যে সর্বদা প্রস্তুত থাকেন, কিন্তু আনুগত্যের জন্য সর্বদা উপযোগী ও যথাসম্ভব সহজ পথ অবলম্বন করেন। যদি ইব্রাহীম (আ.) পূর্বাহ্নে কিছু না বলেই পুত্রকে জবাই করতে উদ্যত হতেন, তবে বিষয়টি উভয়ের পক্ষেই কঠিন হয়ে যেতে পারত । 

তিনি পরামর্শের ভঙ্গিতে ব্যাপারটি উল্লেখ করলেন, যাতে পুত্র পূর্ব থেকেই আল্লাহর নির্দেশের কথা জেনে জবাইয়ের ব্যাপারে প্রস্তুত হতে পারে। এ ছাড়া পুত্রের মনে কোনোরূপ দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলেও তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে সম্মত করা যাবে। ------রূহুল মা'আনী

কিন্তু তিনিও ছিলেন ইব্রাহীম (আ.) এরই পুত্র, ভাবী পয়গম্বর । তিনি জবাব দিলেন- ইয়া আবাতি’আল্‌ মা-তু’মার। অর্থাৎ “পিতা আপনাকে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা সেরে ফেলুন।” এতে হযরত ইসমাঈল (আ.)-এর অতুলনীয় বিনয় ও আত্মনিবেদনের পরিচয় তো পাওয়া যায়ই, তদুপরি প্রতীয়মান হয় যে, এহেন  বয়সেই আল্লাহ তা'আলা তাকে কি পরিমাণ মেধা ও জ্ঞান দান করেছিলেন। 
হযরত ইব্রাহীম (আ.) তাঁর সামনে আল্লাহর কোনো নির্দেশের বরাত দেননি ; বরং একটি স্বপ্নের কথা বলে ছিলেন মাত্র। কিন্তু ইসমাঈল (আ.) বুঝে নিলেন যে, নবীদের স্বপ্নও ওহী হয়ে থাকে। কাজেই এ স্বপ্নও প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর একটি নির্দেশ। অতএব তিনি জবাবে স্বপ্নের পরিবর্তে নির্দেশের কথা বললেন।

হযরত ইসমাঈল (আ.) নিজের পক্ষ থেকে পিতাকে এ আশ্বাসও দিলেন যে, সাতাজিদুনী ইনশা-আল্লাহু মিনাস্ সাবিরীন অর্থাৎ ইনশা-আল্লাহ আপনি আমাকে সবরকারীদের মধ্যে পাবেন।” এ বাক্যে হযরত ইসমাঈল (আ.)-এর চূড়ান্ত আদব ও বিনয় লক্ষ্যণীয় । 
ইতিহাস ও তাফসীরভিত্তিক কোনো কোনো রেওয়ায়তে জানা যায়, শয়তান তিনবার হযরত ইব্রাহীম (আ.)-কে প্রতারিত করার চেষ্টা করে এবং ইব্রাহীম (আ.) প্রত্যেকবারই তাকে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপের মাধ্যমে তাড়িয়ে দেন। অদ্যাবধি এই প্রশংসনীয় কাজের স্মৃতি মিনায় তিনবার কঙ্কর নিক্ষেপের মাধ্যমে উদযাপিত হয়। 
অবশেষে পিতা-পুত্র উভয়েই যখন কুরবানীর উদ্দেশ্যে নির্দিষ্টস্থানে পৌঁছলেন, তখন ইসমাঈল (আ.) পিতাকে বললেন, আমাকে খুব শক্ত করে বেঁধে নিন, যাতে আমি বেশি ছটফট করতে না পরি। আপনার পরিধেয় বস্ত্রও সামলে নিন, যাতে আমার রক্তের ছিটা তাতে না পড়ে। এতে আমার সওয়াব কমে যেতে পেতে পারে। একমাত্র পুত্রের মুখে এ সব কথা শুনে পিতার মানসিক অবস্থা যে কি হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। 

কিন্তু হযরত ইবরাহীম (আ.) দৃঢ়তার অটল পাহাড় হয়ে জবাব দিলেন, বৎস! আল্লাহর নির্দেশ পালন করার জন্য তুমি আমার চমৎকার সহায়ক হয়েছ। অতঃপর তিনি পুত্রকে চুম্বন করলেন এবং অশ্রুপূর্ণ নেত্রে তাকে বেঁধে নিলেন। ওয়া তাল্লাহ্ লিলজাবীন অর্থাৎ “এবং তাঁকে উপুড় করে মাটিতে শুইয়ে দিলেন।”
হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) এর অর্থ করেন যে, তাঁকে কাত করে এমনভাবে শুইয়ে দিলেন, যাতে কপালের এক দিক মাটি স্পর্শ করেছিল। -----মাযহারী।  ঐতিহাসিক রেওয়ায়তে এভাবে শোয়ানোর কারণ বর্ণিত হয়েছে যে, শুরুতে হযরত ইব্রাহীম (আ.) তাঁকে সোজা করে শুইয়ে দিলেন, কিন্তু বারবার ছুরি চালানো সত্ত্বেও গলা কাটছিল না। 

কেননা আল্লাহ তা'আলা স্বীয় কুদরতে পিতলের একটি টুকরা মাঝখানে অন্তরায় করে দিয়েছিলেন। তখন পুত্র নিজেই আবদার করে বললেন, পিতা আমাকে কাত করে শুইয়ে দিন। কারণ আমার মুখমণ্ডল দেখে আপনার মধ্যে পৈতৃক স্নেহ উথলে ওঠে, ফলে গলা পূর্ণরূপে কাটা হয় না, এ ছাড়া ছুরি দেখে আমিও ঘাবড়ে যাই। সেমতে হযরত ইব্রাহীম (আ.) তাঁকে এভাবে শুইয়ে ছুরি চালাতে থাকেন ।
ওয়া না-দাইনাহু আঁই ইয়া ইব্রহীম; কান্দ সাক্বতার রু’ইয়া অর্থাৎ, “আমি তাঁকে ডেকে বললাম, হে ইব্রাহীম! তুমি স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখিয়েছ। অর্থাৎ আল্লাহর আদেশ পালনে তোমার যা করণীয় ছিল, তাতে সত্যই নিজের পক্ষ থেকে কোনো ত্রুটি রাখোনি। স্বপ্নেও সম্ভবত এ বিষয়টিই শেখানো হয়েছিল যে, ইব্রাহীম (আ.) জবাই করার জন্য পুত্রের গলায় ছুরি চালাচ্ছেন। এখন এই পরীক্ষা পূর্ণ হয়ে গেছে । তাই তাঁকে ছেড়ে দাও ।

এরপর হযরত জিবরাঈল আঃ আল্লাহর নির্দেশে জান্নাত থেকে একটি দুম্বা নিয়ে সেখানে হাজির হন এবং ইব্রাহিম আঃ ওই দুম্বাটি কুরবানী করেন। এভাবেই শুরু হয় পবিত্র কোরবানির।

কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি

কুরবানী প্রত্যেক মালিকে নিসাবের ওপর ওয়াজিব, অর্থাৎ কুরবানীর দিনসমূহের মধ্যে যার নিকট ৭.৫ তোলা স্বর্ণ অথবা ৫২.৫ তোলা রৌপ্য অথবা তার সমপরিমাণ টাকা বা সম্পদ মওজুদ থাকে তার ওপর কুরবানী করা ওয়াজিব।
কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত চারটি । অর্থাৎ, যার নিকট এ চারটি শর্তই বিদ্যমান থাকবে তার ওপর কুরবানী ওয়াজিব হবে। সে চারটি শর্ত হলোঃ-
  1. মুসলমান হওয়া,
  2. নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া,
  3. আজাদ তথা দাস না হওয়া,
  4. মুসাফির না হওয়া

ইব্রাহিম আঃ এর জীবনী । ইব্রাহিম আঃ এর কোরবানির ইতিহাস । কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি : লেখক এর মতামত

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আপনাদের সামনে হযরত ইব্রাহিম আঃ এর পরিচয় , ইব্রাহিম আঃ এর কোরবানির ইতিহাস এবং কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি তা তুলে ধরলাম। আশা করব আমাদের আলোচনাটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েছেন।

এ সংক্রান্ত আপনাদের যে কোনো মতামত বা প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। খুব দ্রুত আমরা আপনাদের প্রশ্ন এবং মতামতের উত্তর প্রদান করা হবে ইনশাআল্লাহ। এরকম প্রয়োজনীয় আরও তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।।ধন্যবাদ।।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

ইসলামিক ইনফো বাংলা