বাংলাদেশের সামরিক শক্তি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

   

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করা এই দেশটির রয়েছে উল্লেখযোগ্য সামরিক শক্তি। আজকে আমরা জানবো বাংলাদেশের সামরিক শক্তি এবং  বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সে সম্পর্কে ।
বাংলাদেশের সামরিক শক্তি  এবং কতটা শক্তিশালী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
বাংলাদেশের সামরিক শক্তি সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের জানতে হবে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা, অস্ত্র-শস্ত্র, অতীত ইতিহাস ,বর্তমান ইতিহাস,দক্ষতা ইত্যাদি সম্পর্কে।

বাংলাদেশের সামরিক শক্তি  এবং  বাংলাদেশ সেনাবাহিনীঃ ভূমিকা

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী মূলত সেনা, নৌ এবং বিমান এই ৩ টি ভাগে বিভক্ত। আজকে আমরা এসকল বাহিনী সম্পর্কে জানবো তাহলে আমরা বাংলাদেশের সামরিক শক্তি এবং কতটা শক্তিশালী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সে বিষয়ে ধারণা পাব।

বাংলাদেশের সামরিক শক্তি

বাংলাদেশ গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের র‌্যাংকিং এ বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ৪০ তম। বাংলাদেশের মোট সামরিক জনবল রয়েছে প্রায় ৭০,০০,০০০। এর মধ্যে সক্রিয় সৈন্য রয়েছে ১৬৫০০০ এবং রিজার্ভ সৈন্য আছে প্রায় ৬৮০০০০০। পৃথিবীতে এত বৃহৎ রিজার্ভ সৈন্য অন্য কোন দেশের নেই। রিজার্ভ সৈন্যর দিক থেকে বাংলাদেশ ভারত এমনকি চীনের চাইতেও এগিয়ে।বাংলাদেশের সামরিক বাজেট প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশের সামরিক শক্তিঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

’সমরে আমরা শান্তিতে আমরা সর্বত্র আমরা দেশের তরে’ এই মূলমন্ত্র নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী বৃহৎ এবং সুশৃঙ্খল প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সক্রিয় সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৬০০০০ জন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত।বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মোট ৩৩ টি সেনানিবাস এবং ২৯ টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান

বর্তমান সেনা প্রধান জেনারেল এস.এম শফিউদ্দীন। তিনি বাংলাদেশের ১৭ তম সেনাপ্রধান।২০২১ সালে পরবর্তী ০৩ বছরের জন্য তাকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি 1983 সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভাগ এবং কোর সমূহ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৩ টি ভাগে মোট ২৩ টি কোর এ গঠিত। ৩টি ভাগ এবং ২৩ টি কোর হচ্ছে -
তিনটি ভাগ হচ্ছে-
  • যুদ্ধ শাখা
  • যুদ্ধ সহায়ক শাখা
  • সেবা সংক্রান্ত শাখা
যুদ্ধ শাখা গঠিত ৫ টি কোর নিয়ে। যথাঃ
  1. সাজোয়া কোর (Armored)
  2. ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট (EBR)
  3. বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট(BIR)
  4. প্যারা কমান্ডো
  5. গোলান্দাজ রেজিমেন্ট ( Artillery)
যুদ্ধ সহায়ক শাখা গঠিত ০৫টি কোর নিয়েঃ-
  1. আর্মি এভিয়েশন কোর
  2. আর্মি ইন্জিনিয়ার্স কোর
  3. আর্মি ইন্টেলিজেনস কোর
  4. আর্মি সিগন্যাল কোর
  5. আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোর
সেবা সংক্রান্ত শাখা ১৩ টি কোর নিয়ে গঠিত। যথাঃ-
  1. প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (PGR)
  2. আর্মি পুলিশ কোর (CMP)
  3. আর্মি সার্ভিস কোর (ASC)
  4. ইলেকট্রিক্যাল- মেক্যানিক্যাল কোর (EME)
  5. আর্মি এডুকেশন কোর (AEC)
  6. আর্মি মেডিক্যাল কোর(AMC)
  7. আর্মি ডেন্টাল কোর (ADC)
  8. আর্মি নার্সিং কোর
  9. আর্মি ক্লার্ক কোর
  10. আর্মি মিউজিক কোর
  11. লিগ্যাল এন্ড জাস্টিস কোর
  12. আর্মি মিলিটারি ফার্ম
  13. ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (BNCC)

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদক্রমঃ

সেনাবাহিনীর পদক্রম ০৩ ভাগে বিভক্ত যথাঃ-
  1. নন কমিশন্ড অফিসার (NCO) বা সাধারণ সৈন্য:
  2. জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার(JCO)
  3. কমিশন্ড অফিসার
নন কমিশন্ড অফিসার (NCO) বা সাধারণ সৈন্য:
  • সৈনিক
  • ল্যান্স কর্পোরাল
  • কর্পোরাল
  • সার্জেন্ট
জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার(JCO)
  • ওয়ারেন্ট অফিসার
  • সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার
  • মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার
  • অনারারি লেফটেন্যান্ট
  • অনারারি ক্যাপ্টেন
কমিশন্ড অফিসার
  • সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট
  • লেফটেন্যান্ট
  • ক্যাপ্টেন
  • মেজর
  • লেফটেন্যান্ট কর্নেল
  • কর্নেল
  • ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (★)
  • মেজর জেনারেল (★★)
  • লে. জেনারেল (★★★)
  • জেনারেল (★★★★)

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অস্ত্র শস্ত্র এবং যানবাহন

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সাধারণ অস্ত্র হিসেবে নিজ দেশে তৈরি BD08 অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের এসএমজি, এলএমজি, হ্যান্ড গ্রেনেড AK-47, AK-56, মেশিনগান, মর্টার, ট্যাংক বিধ্বংসী কামান , বিমান বিধ্বংসি মেশিনগান ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকে। 
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মোট ট্যাংক রয়েছে ২৮১ টি এর মধ্যে MBT- ৪৪ টি, নিজ দেশে তৈরী TYPE-59 Durjo-১৭৪ টি , TYPE-69 ৫৮ টি। রকেট আর্টিলারী রয়েছে ৭০ টি, টোয়াড আর্টিলারি ৩৭০ টি, সেলফ প্রোপেলড আটিৃলারী ৩০ টি এবং চোট, মাঝারী এবং বড় মিলিয়ে মোট সামরিক যান রয়েছে- ১৩১০০ টি । আর্মি এভিয়েশনে মোট ১২ টি বিমান ও ১৮ টি হেলিকাপ্টার রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা নিরসন, উপসাগরীয় যুদ্ধ, অপারেশন থান্ডারবোল্ট ইত্যাদি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে তিনজন বীরশ্রেষ্ঠ সহ শতাধিক সদস্য বিভিন্ন উপাধীতে ভূষিত হন। 

১৯৭১ সালের ১১টি সেক্টরের ১০টির কমান্ডারই ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর । মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এমএজি ওসমানী ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম সেনাপ্রধান।

বাংলাদেশের সামরিক শক্তিঃ বাংলাদেশ নৌবাহিনী

’শান্তিতে সংগ্রামে সমুদ্রে দুর্জয়’ এই মূল মন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ নৌ বাহিনী। বাংলাদেশ নৌবাহিনী বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ২৬০০০ । বাংলাদেশ নৌবাহিনী সদর দপ্তর ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১৫ টি ঘাঁটি এবং ১২ টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে।

বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান

বাংলাদেশ নৌবাহিনী বর্তমান প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান। তিনি ২০২৩ সাল থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য নিয়োগ পান। পুলিশ 1986 সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তুমি বাংলাদেশের ১৭ তম নৌবাহিনী প্রধান।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিভাগ এবং কোর সমূহ

বাংলাদেশ নৌবাহিনী ০৯টি বিভাগ এবং ০৬টি কোর রয়েছে।

বাংলাদেশ নৌবাহিনী বিভাগসমূহ:
  1. নৌবাহিনী সাবমেরিন
  2. বিএন ফ্লিট
  3. খুলনা নেভাল এরিয়া
  4. নেভাল এভিয়েশন
  5. ঢাকা নেভাল এরিয়া
  6. চট্টগ্রাম নেভাল এরিয়া
  7. ডকইয়ার্ড
  8. স্পেশাল ওয়ারফেয়ার এন্ড ডাইভিং স্যালভেজ কমান্ড
  9. ওয়েস্ট ফ্লোটিলা
নৌবাহিনীর ০৬ টি কোর হলঃ
  1. বিএন এডমিনিস্ট্রেশন কোর
  2. বিএন ইঞ্জিনিয়ার্স কোর
  3. বিএন সাপ্লাই কোর
  4. বিএন ইলেকট্রিক কোর
  5. বিএন এডুকেশন কোর 
  6. বিএন মেডিকেল কোর

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পদক্রম

নৌবাহিনীর পদক্রম ০৩ ভাগে বিভক্ত যথাঃ-
  1. নন কমিশন্ড অফিসার (NCO) বা সাধারণ সৈন্য:
  2. জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার(JCO)
  3. কমিশন্ড অফিসার
নন কমিশন্ড অফিসার (NCO) বা সাধারণ সৈন্য:
  • অর্ডিনারি সীম্যান
  • এবল সীম্যান
  • লিডং সীম্যান
  • পেটি অফিসার
জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার(JCO)
  • চিফ পেটি অফিসার 
  • সিনিয়র চিফ পেটি অফিসার
  • মাস্টার চিফ পেটি অফিসার
কমিশন্ড অফিসার
  • সাব লেফটেন্যান্ট
  • লেফটেন্যান্ট
  • লেফটেন্যান্ট কমান্ডার
  • কমান্ডার
  • ক্যাপ্টেন
  • কমোডর (★)
  • রিয়ার এ্যাডমিরাল (★★)
  • ভাইস এ্যাডমিরাল (★★★)
  • এ্যাডমিরাল (★★★★)

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অস্ত্র শস্ত্র এবং যানবাহন

বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে ০৭ টি ফ্রিগেট, ০৬ টি কর্ভেট, ০২ টি  সাবমেরিন এবং ছোট বড় মোট ৬৮ টি যুদ্ধ জাহাজ রয়েছে। নেভি এভিয়েশনে মোট ছয়টি বিমান এবং হেলিকপ্টার রয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী চীন, ইতালি, জার্মানি এবং নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র, টর্পেড, বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং গোলাবারুদ ব্যবহার করে থাকে।

মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনী

মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ নৌবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। মুক্তিযুদ্ধের দশ নং সেক্টর টি নৌ বাহিনীর কমান্ডোদের দ্বারা পরিচালিত হতো এই বাহিনীর সবচাইতে আলোচিত অভিযান ছিল অপারেশন জ্যাকপট অপারেশন জ্যাকপটে সরাসরি অংশ নিয়ে ৬০ জন কমান্ডো।
অপারেশন জ্যাকপটের আওতায় চট্টগ্রাম, মংলা, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর বন্দরে অভিযান করা হয় এ অভিযানে ছোট বড় ১২৬টি যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করা হয়।  মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন সদস্য বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত হন।

বাংলাদেশের সামরিক শক্তিঃ বাংলাদেশ বিমান বাহিনী

’বাংলার আকাশ রাখিবো মুক্ত’ এই মূল মন্ত্রে গঠিত হয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সক্রিয় সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার । বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদর দপ্তর ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত। বিমান বাহিনীর ১০ টি ঘাঁটি এবং ১১ টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান। তিনি ২০২১ সালের নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ১৯৮৪ সালে তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১৬ তম প্রধান।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বিভাগ এবং কোর সমূহ

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী মোট ০৪ টি ভাগে বিভক্ত। এগুলো হলঃ
  1. অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
  2. প্ল্যানস
  3. অপারেশনস
  4. মেইনটেনেন্স

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পদক্রম

বিমান বাহিনীর পদক্রম ০৩ ভাগে বিভক্ত যথাঃ-
  1. নন কমিশন্ড অফিসার (NCO) বা সাধারণ সৈন্য:
  2. জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার(JCO)
  3. কমিশন্ড অফিসার
নন কমিশন্ড অফিসার (NCO) বা সাধারণ সৈন্য:
  • এয়্যারক্রাফটম্যান
  • লিডিং এয়্যারক্রাফটম্যান
  • কর্পোরাল
  • সার্জেন্ট
জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার(JCO)
  • ওয়ারেন্ট অফিসার
  • সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার
  • মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার
কমিশন্ড অফিসার
  • ফ্লাইং অফিসার
  • ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট
  • স্কোয়াড্রন লিডার
  • উইং কমান্ডার
  • গ্রুপ ক্যাপ্টেন
  • এয়ার ক্রোমোডর (★)
  • এয়ার ভাইজ মার্শাল (★★)
  • এয়ার মার্শাল (★★★)
  • এয়ার চিফ মার্শাল (★★★★)

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী অস্ত্র শস্ত্র এবং যানবাহন

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে মোট বিমান ও হেলিকাপ্টার আছে-২০৮ যুদ্ধ বিমান আছে ৪৪ টি। মিগ-29 আছে -০৮ টি, এফ-7 আছে - ৩৬ টি, ট্রেইনার বিমান আছে-৭৫ টি, ট্রান্সপোর্ট বিমান-১৭ টি, স্পেশাল মিশন বিমান রয়েছে-০৩ টি এবং মোট হেলিকাপ্টার আছে -৬৫ টি।

মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনী

১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল । মুক্তিযুদ্ধে ৬ নম্বর সেক্টর কমান্ডার উইং কমান্ডার খাদেমুল বাশার এবং ০৯ নং সেক্টর কমান্ডার ছিলেন স্কোয়ড্রন লিডার এম হামিদুল্লাহ ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্য । মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একজন সদস্যকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর ইতিহাস

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর জন্ম হয় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে একটি দেশের সামরিক বাহিনীর গঠনে ইতিহাস খুব কমই পাওয়া যায়। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক অপারেশন সার্চলাইট শুরুর পরেই জন্ম হয় বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর।
আনুষ্ঠানিক রূপ লাভ করে ১৯৭১ সালের ১১ই জুলাই বাংলাদেশকে ১১ টি সেক্টরে বিভক্ত করে জেনারেল ওসমানী কে মুক্তিযোদ্ধাদের নায়ক নিয়োগের মাধ্যমে। ১৯৭১  সালের আগস্ট মাসে জন্ম হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং পরবর্তী সেপ্টেম্বর মাসের জন্ম হয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর। জন্ম লাভের পর থেকেই একের পর এক সফল আক্রমণের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মনবল ভেঙে ফেলে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করে।

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর দক্ষতা

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা, কুয়েত মিশন, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের শান্তিরক্ষা মিশন বিশেষ করে মালি , কঙ্গো, সিয়েরা লিওন , মোজাম্বিক , রুয়ান্ডা, লিবিয়া, হাইতি , কসোভো, জর্জিয়া , ইথিওপিয়া, পূর্ব তিমুর এ এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫,০০০ এর অধিক শান্তিরক্ষী মোতায়ন করেছে যা বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশের মর্যাদা দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে হলি আর্টিজোনসহ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

লেখকের মতামত

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা বাংলাদেশের সামরিক শক্তি,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী,বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর ইতিহাস,বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর দক্ষতা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। আশা করব বাংলাদেশের  সামরিক শক্তি এবং  সামরিক বাহিনী সম্পর্কে আপনার যে সকল প্রশ্ন রয়েছে আপনি সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।

 তারপরেও এ সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থাকলে এবং আপনার যেকোনো মতামত আপনি আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এ ধরনের আরো পোস্ট করার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করার অনুরোধ রইল ধন্যবাদ
Next Post Previous Post
1 Comments
  • mahin
    mahin ১৭ অক্টোবর, ২০২৩ এ ৫:৩৪ PM

    sonlan 2024 saka samorik bahani aro soktisali hobo 2024 sala aro soktisali hoba

Add Comment
comment url

ইসলামিক ইনফো বাংলা