খতমে খাজেগান পড়ার নিয়ম । খতমে শিফা পড়ার নিয়ম । খতমে ইউনুস পড়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আমরা অনেকেই খতমে খাজেগান , খতমে শিফা , খতমে ইউনুস এর নাম শুনেছি
কিন্তু আমরা খতমে খাজেগান পড়ার নিয়ম , খতমে শিফা পড়ার নিয়ম , খতমে ইউনুস পড়ার
নিয়ম সম্পর্কে জানিনা।
তাই আজকে আমরা আপনাদের সামনে খতমে খাজেগান পড়ার নিয়ম , খতমে শিফা পড়ার নিয়ম ,
খতমে ইউনুস পড়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ
সহকারে আমাদের পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
খতমে খাজেগান পড়ার নিয়ম । খতমে শিফা পড়ার নিয়ম । খতমে ইউনুস পড়ার নিয়ম
বিপদাপদ ও রোগব্যাধি হতে মুক্তি পাবার জন্য এবং নেক মকসুদ পূর্ণ হবার জন্য এ খতম
পড়লে সুফল পাওয়া যায়। রীতিমতো এ খতম পড়লে রুজি- রোজগারে বরকত হয়। একা অথবা
কয়েকজন লোক একত্রে বসে একই বৈঠকে শেষ করতে হয়। বিনা প্রয়োজনে খতমের মধ্যে কোনো
কথাবার্তা বলবেন না । খতম শেষে গুনাহ মাফি ও বিপদাপদ থেকে মুক্তি পাবার জন্য
মুনাজাত করবেন।
খতমে খাজেগান পড়ার নিয়ম
খতমে খাজেগান পড়ার নিয়ম নিম্নরূপঃ-
- প্রথমে আস্তাগফিরুল্লাহা রব্বী মিন কুল্লি যামবিওঁ ওয়া অতূবু ইলাইহি ---- ১১ বার,
- সূরা ফাতেহা ---- ৭০ বার
- দরুদ শরীফ ---- ১০০ বার
- সূরা আলাম নাশরাহ ---- ৭৯ বার,
- সূরা ইখলাস ---- ১০০ বার,
- পুনরায় সূরা ফাতেহা ---- ৭ বার,
- পুনরায় দরুদ শরীফ ---- ১০০ বার,
- তারপরঃ ফাসাহহিল ইয়া ইলাহী কুল্লা সাবিন বিহুরমাতি সায়্যিদিল আবরারি সাহহিল বিফাদ্বলিকা ইয়া আযীযু ---- ১০০ বার
- তারপরঃ ইয়া কাদিয়াল হাজাত ---- ১০০ বার।
- তারপরঃ ইয়া কা-ফিয়াল মুহিম্মা-ত ---- ১০০ বার।
- তারপরঃ ইয়া দা-ফি'আল বালিয়্যা-ত ---- ১০০ বার।
- তারপরঃ ইয়া রা-ফি'আদ দারাজা-ত ---- ১০০ বার।
- তারপরঃ ইয়া হাল্লা-লাল মুশকিলাত ---- ১০০ বার।
- তারপরঃ ইয়া মুসাব্বিবাল আসবা-ব ---- ১০০ বার।
- তারপরঃ ইয়া শাফিয়াল আমরা-দ্ব ---- ১০০ বার ।
- তারপরঃ ইয়া মুজীবাদ্ দা'ওয়া-ত ---- ১০০ বার।
- তারপরঃ ইয়া মুফাত্তিহাল আবওয়া-ব ---- ১০০ বার।
- তারপরঃ রাব্বি আন্নী মাগলূবুন ফানতাসির ---- ১০০ বার।
- তারপরঃ ইয়াগাওসু আগিশনী ওয়া আমদিদনী ---- ১০০ বার।
- তারপরঃ ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন ---- ১০০ বার।
- তারপরঃ লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহা-নাকা ইন্নী কুনতু মিনায্ যা-লিমীন ---- ১০০ বার।
- তারপরঃ ফাস্তাজাবনা লাহু ওয়া নাজজাইনাহু মিনাল গাম্মি ওয়া কাযা-লিকা নুনজিল মুমিনীন ---- ১০০ বার।
- তারপরঃ ইয়া আর হামার র-হিমীন ---- ১০০ বার ।
- পুনরায়ঃ দরুদ শরীফ ---- ১০০ বার পাঠ করবেন। এভাবে খতমে খাজেগান পড়া শেষ করতে হবে।
খতমে ইউনুস পড়ার নিয়ম
খতমে ইউনুস পড়ার উদ্দেশ্য হলো, হযরত ইউনুস (আ.) যখন মাছের পেটে বিপদগ্রস্ত
অবস্থায় ছিলেন তখন তিনি নিম্নের আয়াত শরীফ পাঠ করার বরকতে
আল্লাহ তাআলা
তাঁকে এ কঠিন বিপদ হতে মুক্ত করেছিলেন ।
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজীদে নিম্নের আয়াত দ্বারা অঙ্গীকার করেছেনঃ ওয়া কাযা-লিকা
নুনজিল মু'মিনীন।অর্থ :আমি (যেভাবে) ইউনুস (আ.)-কে বিপদমুক্ত করেছি, সেরূপ
বিশ্বাসীদেরকে
বিপদ হতে নাজাত দিয়ে থাকি।
অতএব কোনো মানুষের ওপর অথবা কোনো দেশে বালা-মসিবত বা কোনো বিপদ দেখা দিলে নিম্নের
আয়াত শরীফ নিম্ন নিয়মে খালেস অন্তরে পাঠ করে আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি সহকারে
প্রার্থনা করলে নিশ্চয় তিনি বিপদ হতে মুক্ত করবেন।
যদি কোনো মানুষ কঠিন বিপদ বা বালা-মসিবতের সম্মুখীন হয়, তাহলে নিজে অথবা কিছু
সংখ্যক দীনদার পরহেজগার মুসল্লি দ্বারা খালেস নিয়তে বিশ্বাসের সঙ্গে দোয়া পাঠ
করে আল্লাহ তাআলার দরবারে খালেস নিয়তে মনের বাসনা পেশ করলে অবশ্যই দোয়া কবুল
হবে। নিম্নলিখিত আয়াত ২.৫ লক্ষ বার পাঠ করাকেই খতমে ইউনুস বলা হয়।
আরো পড়ুন: উকিল/অ্যাডভোকেট/ব্যারিস্টার হতে কি করবেন ? । হ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম । বাংলাদেশের ৬৬ তম জেলার নাম কি ?
খতমে ইউনুসঃ লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নী কুন্তু মিনায্ যালিমীন
।
এ দোয়া প্রতি একশতবার পাঠ করার পর নিম্নের দোয়া একবার পাঠ করতে হয়--
ফাস্তাজাবনা লাহু ওয়া নাজ্জাইনাহুি মিনাল গামেঁ ওয়া কাযালিকা নুনজিল মুমিনীন
।অর্থ : তারপর আমি হযরত ইউনুস (আ.)-এর দোয়া কবুল করেছি এবং তাকে চিন্তা ও
বিপদ-আপদ থেকে নাজাত দিয়েছি আর সে রকম
মুমিনদেরকে নাজাত দিয়ে দেব।
খতমে শিফা পড়ার নিয়ম
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, যদি কোনো মৃত ব্যক্তির রুহের মাগফিরাতের জন্য (লা ইলা-হা
ইল্লাল্লা-হু) অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউই ইবাদতের যোগ্য নয়; এ কালিমা এক
লক্ষ পঁচিশ হাজার বার পড়ে যাকে খতমে তাহলীল বলা হয়, দোয়া করা হয় আল্লাহ তাআলা
মৃত ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেন এবং তাকে বেহেশতে প্রবেশ করাবেন।
আরো পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মোবাইল নাম্বার । রাজশাহী টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী । রেডমি মোবাইল প্রাইস - 2024
এ খতম একাকী অথবা বহুলোকে পড়া যায় । একই বৈঠক হওয়ার আবশ্যকতা নেই। সময় সুযোগ
মতো পড়লে চলবে। কোনো বিপদ-আপদ বা রোগ হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য এ খতম পড়লে তাতে
উত্তম ফল পাওয়া যায়।এজন্য একে খতমে শিফা বলা হয়।
খতম শুরু করার পূর্বে পাক-সাফ হয়ে অজু করে প্রথমে কয়েকবার আসতাগফিরুল্লাহ ও
দরুদ শরীফ পড়া এবং প্রতি একশত বার পর
মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ
পড়া উত্তম ৷
খতমে খাজেগান পড়ার নিয়ম । খতমে শিফা পড়ার নিয়ম । খতমে ইউনুস পড়ার নিয়ম : লেখক এর মতামত
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আপনাদের সামনে খতমে খাজেগান পড়ার নিয়ম , খতমে শিফা পড়ার
নিয়ম , খতমে ইউনুস পড়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।
এ সংক্রান্ত আপনাদের যেকোনো মতামত বা প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট
করে জানাতে পারেন। এরকম প্রয়োজনীয় আরও তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি
ভিজিট করুন এবং গুগল নিউজে আমাদের পেজটিতে ফলো দিয়ে রাখুন। ধন্যবাদ।।