নবীজির ১১ জন স্ত্রীর নাম - হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর স্ত্রীদের নাম
প্রিয় পাঠক , আমরা অনেকেই জানি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ মোট এগারোটি
বিয়ে করেছিলেন। আমরা অনেকেই হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর স্ত্রীদের নাম সম্পর্কে জানতে
চাই। তাই আজকে আমরা নবীজির ১১ জন স্ত্রীর নাম এবং তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত
জানবো।
আমাদের আলোচনার শুরুতেই আমরা নবীজির ১১ জন স্ত্রীর নাম জেনে নেব। পরবর্তীতে আমরা
তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর স্ত্রীদের নাম এবং
বিস্তারিত জানতে পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।
নবীজির ১১ জন স্ত্রীর নাম - হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর স্ত্রীদের নাম
হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর স্ত্রীদের নাম ও বিস্তারিত জানার জন্য প্রথমেই চলুন আমরা
নবীজির ১১ জন স্ত্রীর নাম একনজরে দেখে আসিঃ
- হযরত খাদিজা (রা.)
- হযরত সাওদা বিনতে যামআ (রা.)
- হযরত হাফসা বিনতে ওমর (রা.)
- হযরত আয়েশা বিনতে আবু বকর (রা.)
- হযরত যয়নব বিনতে খোযায়মা (রা.)
- হযরত উম্মে সালামা হিন্দ বিনতে আবী উমাইয়া (রা.)
- হযরত যয়নব বিনতে জাহশ (রা.)
- হযরত জুয়াইরিয়া বিনতে হারেস (রা.)
- হযরত উম্মে হাবিবা রামলা বিনতে আবু সুফিয়ান (রা.)
- হযরত সফিয়া বিনতে হুয়াই (রা.)
- হযরত মায়মুনা বিনতে হারেস (রা.)
নবীজির ১১ জন স্ত্রীর নাম - হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর স্ত্রীদের নাম: বিস্তারিত
হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর ইন্তেকালের সময় স্ত্রীদের নয় জন জীবিত ছিলেন। দুজন তাঁর
জীবদ্দশায় ইন্তেকাল করেন। তারা দুজন হচ্ছেন হযরত খাদিজা রাঃ এবং উম্মুল মাসাকিন
হযরত যয়নব বিনতে খোযায়মা রাঃ। নীচে আমরা নবীজির ১১ জন স্ত্রীর নাম এবং সংক্ষিপ্ত
পরিচিতি পর্যায়ক্রমে তুলে ধরছি।
১. হযরত খাদিজা (রাঃ)
হিজরতের আগে মক্কায় নবী করীম সাঃ এর পরিবার তিনি এবং তাঁর স্ত্রী হযরত খাদিজা
(রা.)-এর সমন্বয়ে গঠিত ছিলো। এ বিয়ের সময় নবী করীম সাঃ এর বয়স পঁচিশ এবং বিবি
খাদিজার বয়স ছিলো চল্লিশ বছর। হযরত খাদিজা (রা.) নবী করীম সাঃ এর প্রথমা স্ত্রী।
তাঁর জীবদ্দশায় নবী সাঃ অন্য কোনো বিয়ে করেন নি।
তাঁর সন্তানদের মধ্যে একমাত্র হযরত ইব্রাহীম ছাড়া অন্য সবাই ছিলেন বিবি খাদিজার
গর্ভজাত। পুত্রদের মধ্যে কেউই জীবিত ছিলেন না।তবে কন্যারা জীবিত ছিলেন। তাঁদের
নাম হচ্ছে হযরত যয়নব রাঃ, হযরত রোকেয়া রাঃ, হযরত উম্মে কুলসুম রাঃ এবং হযরত
ফাতেমা রাঃ।
২. হযরত সাওদা বিনতে যামআ (রাঃ)
বিবি খাদিজা (রা.)-এর ইন্তেকালের কয়েক দিন পর নবী করীম সাঃ নবুয়তের দশম বছরের
শওয়াল মাসে হযরত সাওদা বিনতে যাময়া (রা.)-এর সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। এর আগে
হযরত সাওদা (রা.) তার চাচাতো ভাই সাকরান ইবনে আমরের বিয়ে বন্ধনে ছিলেন।
৩. হযরত আয়েশা বিনতে আবু বকর (রাঃ)
নবুয়তের একাদশ বর্ষের শাওয়াল মাসে হযরত আয়শা বিনতে আবু বকর (রা.)-এর সাথে নবী
করীম সাঃ এর বিয়ে হয়। হযরত সাওদার সাথে বিয়ের এক বছর পর এবং হিজরতের দুই বছর পাঁচ
মাস আগে এ বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় হযরত আয়েশার বয়স মাত্র ছয় বছর।
হিজরতের সাত মাস পরে শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে হযরত আয়েশাকে স্বামীর বাড়ীতে
পাঠানো হয়। সে সময় তাঁর বয়স নয় বছর এবং তিনি ছিলেন কুমারী। নবী করীম সাঃ হযরত
আয়েশা (রা.) ব্যতীত অন্য কোনো কুমারী মেয়েকে বিয়ে করেননি। হযরত আয়েশা (রা.) ছিলেন
তাঁর সবচেয়ে প্রিয় স্ত্রী। উম্মতে মোহাম্মদীর মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বাধিক
জ্ঞানসম্পন্ন ফকীহ।
৪. হযরত হাফসা বিনতে ওমর (রাঃ)
তাঁর প্রথম স্বামী ছিলেন খোনায়স ইবনে হোযাফা সাহমী (রা.)। বদর ও ওহুদ যুদ্ধের
মাঝামাঝি সময়ে তার স্বামী ইন্তেকাল করেন। এরপর নবী করীম সাঃ তৃতীয় হিজরী সালে
তাঁর সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন।
৫. হযরত যয়নব বিনতে খোযায়মা (রাঃ)
তিনি ছিলেন বনু হেলাল ইবনে আমের ইবনে সাসা গোত্রের সাথে সম্পর্কিত। গরীব
মিসকিনদের প্রতি তাঁর অসামান্য মমত্ববোধ এবং ভালোবাসার কারণে তাঁকে উম্মুল
মাসাকিন উপাধি প্রদান করা হয়। তিনি ছিলেন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাহশ (রা.)-এর
স্ত্রী। ওহুদ যুদ্ধে উক্ত সাহাবী শাহাদাত বরণ করেন। এরপর নবী সাঃ চতুর্থ হিজরীতে
তাঁর সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের আট মাস পর তিনি ইন্তেকাল করেন।
৬. উম্মে সালামা হিন্দ বিনতে আবী উমাইয়া (রাঃ)
হযরত উম্মে সালামা (রা.) ছিলেন হযরত আবূ সালামার স্ত্রী। তাঁদের কয়েকটি সন্তান
ছিল। হযরত আবু সালাম (রা.) ওহুদ যুদ্ধে আহত হন। ক্ষতস্থান না শুকোতেই মহানবী (স.)
হযরত আবু সালামাকে অধিনায়ক করে হামরাউল আসাদ অভিযানে প্রেরণ করেন। তিনি সকল
অভিযান চালিয়ে মদীনায় ফিরে আসেন। কিন্তু তাঁর ক্ষতস্থানগুলোর অবস্থা আরো খারাপ
হয়।
তিনি আর সুস্থ হন নি। এই অবস্থায়ই কিছুদিন পর ইন্তিকাল করেন। মহানবী সাঃ হযরত আবূ
সালামার মৃত্যুর সময় শয্যা পাশে চিলেন। মহানবী (স.) তাঁর জন্য মাগফেরাত কামনা
করছিলেন। এ সময় রাসূলুল্লাহর দুই চোখ দিয়ে অশ্রু বেরিয়ে আসে। হযরত আবূ সালামার
ইন্তেকালের চার মাস পর মহানবী (স.) হযরত উম্মে সালামার নিকট বিয়ের প্রস্তাব
পাঠান।
তিনি বলেন, 'আমার বয়স অনেক হয়েছে। তা ছাড়া বেশ কটা সন্তান-সন্ততি রয়েছে। তিনি
প্রস্তাব গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেন। মহানবী (সাঃ) পুনরায় পয়গাম পাঠান। এবার
হযরত উম্মে সালাম (রা.) সম্মতি প্রকাশ করেন। বিয়ের পর মহানবী (স.) উম্মুল মুমিনীন
হযরত উম্মে সালামার সন্তানদের লাল-পালনের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখেন।
৭. যয়নব বিনতে জাহশ (রাঃ)
তিনি ছিলেন বনু আসাদ ইবনে খোযায়মা গোত্রের মহিলা এবং রসূলুল্লাহ সাঃ এর ফুফাতো
বোন। তাঁর বিয়ে প্রথমে হযরত যায়দ ইবনে হারেসা (রা.)-এর সাথে হয়েছিলো। হযরত যায়দকে
মনে করা হতো রাসূল সাঃ এর ছেলে, কিন্তু হযরত যায়দের সাথে যয়নবের বনিবনা হয়নি। ফলে
হযরত যায়দ (রা.) তাকে তালাক দেন।
যয়নবের ইদ্দত শেষ হওয়ার পর আল্লাহ তায়ালা আয়াত নাযিল করেন- অতপর যায়দ যখন যয়নবের
সাথে বিয়ের সম্পর্ক ছিন্ন করলো, তখন আমি তাকে আপনার সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ
করলাম। (সূরা আহযাব, আয়াত ৩৭)। হযরত যয়নবের সাথে পঞ্চম হিজরীর যিলকদ মাসে বা এর
কিছু আগে রাসূল সাঃ এর বিয়ে হয়।
৮. জুয়াইরিয়া বিনতে হারেস (রাঃ)
তার পিতা ছিলেন খোযায়া গোত্রের শাখা বনু মোস্তালেকের সর্দার। বনু মোস্তালেকের
যুদ্ধবন্দীদের সাথে হযরত জুয়াইরিয়াকেও নিয়ে আসা হয়। তিনি হযরত সাবেত ইবনে কায়স
ইবনে শাম্মাস (রা.)-এর ভাগে পড়েছিলেন। হযরত সাবেত (রা.) শর্তসাপেক্ষে তাকে মুক্তি
দেয়ার কথা জানান।
শর্ত হিসাবে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের কথা বলা হয়। রসূল সাঃ এ খবর জানার পর
হযরত জুয়াইরিয়ার পক্ষ থেকে নির্ধারিত অর্থ পরিশোধ করে তার মুক্তির ব্যবস্থা করে
তাকে বিয়ে করেন। এটা পঞ্চম হিজরীর শাবান মাসের ঘটনা।
৯. উম্মে হাবিবা রামলা বিনতে আবু সুফিয়ান (রাঃ)
তিনি ছিলেন ওবায়দুল্লাহ ইবনে জাহশের স্ত্রী। স্বামীর সাথে হিজরত করে তিনি হাবশায়
গমন করেন। সেখানে যাওয়ার পর ওবায়দুল্লাহ ধর্মান্তরিত হয়ে খৃস্টান ধর্ম গ্রহণ করে,
পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়, কিন্তু উম্মে হাবিবা নিজের দ্বীন এবং হিজরতের ওপর অটল
থাকেন।
সপ্তম হিজরীর মহররম মাসে রাসূল সাঃ আমর ইবনে উমাইয়া যামরী (রা.)-কে একখানি চিঠিসহ
আবিসিনিয়ার বাদশাহ নাজ্জাশীর কাছে প্রেরণ করেন। সে চিঠিতে তিনি উম্মে হাবিবাকে
বিয়ে করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। নাজ্জাশী উম্মে হাবিবার সম্মতি সাপেক্ষে তাকে বিয়ে
দেন এবং শোরাহবিল ইবনে হাসানার সাথে নবী করীম সাঃ এর কাছে প্রেরণ করেন।
১০. হযরত সফিয়া বিনতে হুয়াই (রাঃ)
তিনি ছিলেন বনী ইসরাঈল সম্প্রদায়ের এবং খায়বারে বন্দী হন। নবী সাঃ তাকে নিজের
জন্যে পছন্দ করেন এবং মুক্ত করে দিয়ে তার সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। সপ্তম
হিজরীতে খায়বার বিজয়ের পর এ বিয়ে সম্পন্ন হয়।
১১. হযরত মায়মুনা বিনতে হারেস (রাঃ)
তিনি ছিলেন উম্মুল ফযল লোবাবা বিনতে হারেসের বোন। সপ্তম হিজরীর যিলকদ মাসে নবী
করীম সাঃ তাকে বিয়ে করেন। হযরত আব্বাস রাঃ এই বিয়ের আয়োজন করেন। এবং তিনিই নবী
সাঃ এর পক্ষে ৪০০ দিরহাম মোহরানা প্রদান করেন। তাঁর পূর্ব স্বামীর নাম আবু রোহম
ইবনে আব্দুল উযযা। কোন কোন ঐতিহাসিকের মতে তিনিই সেই মহিলা যিনি পবিত্র কুরআনের
ভাষায় নিজেই নিজেকে রাসূলুল্লাহ (স.)-এর হাতে সমর্পণ করেছিলেন।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব যখন এই মহিলার নিকট পৌঁছে তখন
তিনি উটের পিঠে সওয়ার ছিলেন।। তিনি প্রস্তাবের জবাবে তৎক্ষণাৎ বললেন, এই উট ও তার
আরোহী আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের জন্য নিবেদিত। মহান আল্লাহ এর পরিপ্রেক্ষিতে
নাযিল করেন, (তোমার জন্য বৈধ করা হয়েছে) যদি কোনো মুমিন রমনী নিজে আত্মনিবেদন আর
নবী যদি তাকে বিয়ে করতে চান তাহলে।
12. হযরত মারিয়া কিবতীয়া রাঃ
13. হযরত রায়হানা রাঃ। নিচে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা হল।
১২. হযরত মারিয়া কিবতিয়া (রাঃ)
ইসলামের ইতিহাসের একটা বিরাট অংশ জুড়ে উম্মুল মোমেনীন হযরত মারিয়ায়ে কিবতিয়া
(রা.) অবস্থান করছেন।
হুদায়বিয়ার সন্ধির
পর আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ইসলামের দাওয়াত পৌঁছানোর সুযোগ ঘটে। নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শাসকদের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে পত্র
প্রেরণ করেন। তিনি মিশরের শাসকের কাছে ইসলামের দাওয়া পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছিলেন।
মিশসের শাসক মুকাউকিস বিশ্বনবী সাঃ-এর দূতকে অত্যন্ত সম্মান ও মর্যাদা দান
করেছিলেন।
বিশ্বনবী সাঃ-এর পবিত্র পত বাহক হযরত হাতিব (রা.)-এর কাছে নবী সাঃ এর জন্য প্রচুর
উপঢৌকনসহ তাকে বিদায় করেছিলেন। তিনিই হযরত মারিয়া কিবতিয়া (রা.)-কে নবী সাঃ এর
খেদমতে প্রেরণ করেছিলেন। এই নারীই নবী সাঃ এর স্ত্রী হবার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন।
শুধু তাই নয়, তিনি নবীর সন্তান হযরত ইবরাহীম (রা.) এর মাতা হবার দুর্লভ সৌভাগ্য
লাভ করেছিলেন। যদিও সে সন্তান শিশুকালেই ইন্তেকাল করেছিলেন।
১৩. উম্মুল মোমেনীন হযরত রায়হানা (রাঃ)
হযরত রায়হানা (রা.) মদীনার ইহুদীদের বনী কুরাইজার মেয়ে। তাঁর পিতার নাম শামাউন
যায়েদ। কথিত আছে, তাঁর পিতা শামাউন আল্লাহর নবীর সাহাবী ছিলেন। হযরত রায়হানা
(রা.)-এর প্রথম বিয়ে হয়েছিল নিজের গোত্রের হাকাম নামক এক ব্যক্তির সাথে।
এই ব্যক্তি যুদ্ধে নিহত হবার পরে তিনি মুসলমানদের হাতে বন্দি হয়েছিলেন। তখন
তাঁকে ইসলাম কবুল করার জন্য আহ্বান জানানো হয় এবং তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন।এরপর
তিনি বিয়ের মাধ্যমে আল্লাহর রাসূলের ঘরে স্থান লাভ করেন। নবী (স.)-এর ইন্তেকালের
পূর্বেই তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁকে জান্নাতুল বাকীতে দাফন করা হয়।
নবীজির ১১ জন স্ত্রীর নাম - হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর স্ত্রীদের নাম : লেখকের মতামত
প্রিয় পাঠক আমরা আজকে নবীজির ১১ জন স্ত্রীর নাম এবং তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করলাম।আশা করি আপনি হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর স্ত্রীদের নাম সক্রান্ত আপনার
সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।
এ সংক্রান্ত আপনাদের যেকোনো মতামত বা প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট
করে জানাতে পারেন। এরকম প্রয়োজনীয় আরও তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি
ভিজিট করুন এবং আমাদের ফেসবুক পেজটিতে ফলো দিয়ে রাখুন। ধন্যবাদ।।