মুহাম্ম্দ(সাঃ)

bangla

প্রাক ইসলামী আরবের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা

প্রিয় পাঠক, আমরা সকলেই জানি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন ও মদীনায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি যে সময় জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেই সময়কে বলা হয়ে থাকে আইয়ামে জাহিলিয়াত বা অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগ। আমরা অনেকেই প্রাক ইসলামী আরবের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানি না।
প্রাক ইসলামী আরবের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা
আমরা যদি হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর আগমনের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানতে চাই তাহলে প্রথমে আমাদের প্রাক ইসলামী আরবের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে হবে। তাই আজকে আমরা আপনাদের সামনে প্রাক ইসলামী আরবের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা , ধর্মীয় অবস্থা, অর্থনৈতিক অবস্থা, তৎকালীন আরবের নারীদের অবস্থা সহ সামগ্রিক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

প্রাক ইসলামী আরবের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা

তৎকালীন আরবের সামগ্রিক অবস্থা জানার পূর্বে চলুন প্রথমে আমরা জেনে আসি আরব বা জাজিরাতুল আরব এর অবস্থান এবং ভৌগোলিক কিছু তথ্য।

আরবের অবস্থান

মক্কাকে পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল বলা হয়। কুরআনে একে উম্মুল ক্বোরা বা আদি জনপদ বলা হয়েছে । তিন দিকে সাগর বেষ্টিত প্রায় ১৩ লক্ষ বর্গমাইল ব্যাপী আরব উপদ্বীপ কেবল পৃথিবীর মধ্যস্থলেই অবস্থিত নয়, বরং এটি তখন ছিল চতুর্দিকের সহজ যোগাযোগস্থল ও ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্রভূমি। 

আদম (আঃ), নূহ (আঃ), ইদ্রীস (আঃ), সালেহ (আঃ), ইবরাহীম (আঃ), লূত (আঃ), ইসমাইল (আঃ), ইসহাক (আঃ), ইয়াকূব (আঃ), শুআইব (আঃ), মূসা (আঃ), দাঊদ (আঃ), সুলায়মান (আঃ), ইলিয়াস (আঃ), যাকারিয়া(আঃ), ইয়াহ্ইয়া (আঃ), ঈসা (আঃ) এবং সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ সাঃ সহ সকল অনেক নবী ও রাসূলের আবির্ভাব ও কর্মস্থল ছিল এই পবিত্র ভূখন্ড।

আরবের ভৌগলিক গুরুত্ব

অনুর্বর এলাকা হওয়ার কারণে পৃথিবীর অন্যান্য এলাকার সঙ্গে আরবদের নিয়মিত বাণিজ্যিক যোগাযোগ থাকায় এখানে নবুঅতের দাওয়াত দিলে তা সাথে সাথে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ত।এই ভূখন্ডে ছিল দুইটি পবিত্র স্থানের অবস্থিতি। প্রথমটি এবং সর্বশ্রেষ্ঠটি ছিল মক্কায় বায়তুল্লাহ বা কাবা শরীফ। যা হযরত আদম (আঃ) কর্তৃক প্রথম নির্মিত হয়। অতঃপর হযরত ইবরাহীম আঃ ও তার পুত্র ইসমাইল আঃ  এর হাতে পুনর্নির্মিত হয়।
দ্বিতীয়টি ছিল বায়তুল মুক্বাদ্দাস, যা কাবা গৃহের চল্লিশ বছর পর আদম আঃ এর পুত্রগণের হাতে প্রথম নির্মিত হয়। পরবর্তীতে হযরত সুলাইমান আঃ এটি পুনঃনির্মাণ করেন। এভাবে আরব উপদ্বীপের দুই প্রধান এলাকা সহ পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র ইবরাহীম আঃ এর বংশধর বনু ইসমাঈল ও বনু ইসরাঈল কর্তৃক তাওহীদের দাওয়াত প্রসার লাভ করে। সাথে সাথে তাদের সম্মান ও প্রতিপত্তি সর্বত্র প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

প্রাক ইসলামী আরবের রাজনৈতিক অবস্থা

এই সময় আরবের দক্ষিণাংশে ছিল হাবশার সাম্রাজ্য, পূর্বাংশে ছিল পারসিক সাম্রাজ্য এবং উত্তরাংশের ভূখন্ড সমূহ ছিল রোমক সাম্রাজ্যের অর্ন্তভুক্ত। সম্রাট শাসিত এইসব অঞ্চলের অধিবাসীগণ সবাই ছিল ধর্মের দিক দিয়ে খৃষ্টান। যদিও প্রকৃত ধর্ম বলতে সেখানে কিছুই ছিল না। মক্কা ও ইয়াসবির (মদীনা) সহ আরবের বাকী ভূখন্ডের লোকেরা স্বাধীন ছিল।

তাদের সৎসাহস, আমানতদারী, সত্যবাদিতা, কাব্য প্রতিভা, স্মৃতিশক্তি, অতিথিপরায়ণতা ছিল কিংবদন্তীতুল্য। বছরে চার মাস তাদের মধ্যে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ ছিল। মক্কার লোকেরা ইহুদী বা খৃষ্টান ছিল না। তারা নিজেদেরকে ইবরাহীম (আঃ)-এর একান্ত অনুসারী হিসাবে হানীফ বা একনিষ্ঠ একত্ববাদী বলত।
অর্থ ও উচ্চারণ সহ পড়ুনঃ সূরা ইয়াসিন । সূরা আর-রহমান । সূরা হাশর । ১০ টি ছোট সূরা
মক্কা ছিল সমগ্র আরব ভূখন্ডের কেন্দ্রবিন্দু এবং সম্মান ও মর্যাদায় শীর্ষস্থানীয়। খৃষ্টান রাজারা এর উপরে দখল কায়েম করার জন্য বারবার চেষ্টা করত। কিন্তু আরবরা ছিল আজন্ম স্বাধীন ও বীরের জাতি।তাই তৎকালীন রোমক ও পারসিক পরাশক্তির মুকাবিলায় ইসলামী খেলাফতের বাস্তবায়নের জন্য শেষ নবীর আগমন স্থল ও কর্মস্থল হিসাবে আরব ভূখন্ডকে নির্বাচন করা হয়।

প্রাক ইসলামী আরবের ধর্মীয় অবস্থা

শিরকের প্রচলন

মক্কার লোকেরা মূলতঃ হযরত ইসমাঈল (আঃ)-এর বংশধর ছিল এবং তারা জন্মগতভাবেই তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাতে বিশ্বাসী ছিল। তারা কাবা গৃহকে যথার্থভাবেই আল্লাহর গৃহ বা বায়তুল্লাহ বলে বিশ্বাস করত এবং তার রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান করত। তারা এখানে নিয়মিতভাবে ত্বাওয়াফ, সাঈ ও হজ্জ করত এবং বহিরাগত হাজীদের নিরাপত্তা ও পানি সরবরাহের দায়িত্ব পালন করত।
কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ কোন নবী না আসায় শয়তানী প্ররোচনায় তাদের সমাজনেতা ও ধনিক শ্রেণীর অনেকে পথভ্রষ্ট হয়ে যায় এবং এক সময় তাদের মাধ্যমেই মূর্তি পূজার শিরকের সূচনা হয়, যেভাবে ইতিপূর্বে নূহ আঃ এর সমাজে হয়েছিল।

বিদআতের প্রচলন

মূর্তিপূজা করা সত্ত্বেও তারা ধারণা করত যে, তারা দ্বীনে ইবরাহীমের উপরে দৃঢ়ভাবে কায়েম আছে। এজন্য তারা বেশকিছু ধর্মীয় রীতি-পদ্ধতি আবিষ্কার ও চালু করেছিল। যেমন-
  1. তারা মূর্তির পাশে বসে তাকে উচ্চকণ্ঠে আহবান করত ও তাদের অভাব মোচনের জন্য অনুনয়-বিনয় করে প্রার্থনা জানাতো। তারা ধারণা করত যে, এই মূর্তি তাদেরকে আল্লাহর নৈকট্যশীল করবে এবং তাদের জন্য আল্লাহর নিকটে সুপারিশ করবে ।
  2.  তারা মূর্তির উদ্দেশ্যে হজ্জ করত, ত্বাওয়াফ করত, তার সামনে প্রণী হত্যা ও সিজদা করত।
  3. তারা মূর্তির জন্য নযর-নেয়ায নিয়ে আসত। সেখানে মূর্তির নামে কুরবানী করত।
দ্বীনে ইবরাহীমীতে উপরোক্ত শিরক ও বিদআত সমূহ চালু করার পরেও তাদের অহংকার ছিল এই যেঃ
আমরা ইবরাহীম (আঃ)-এর দ্বীনে হানীফ-এর খাঁটি অনুসারী। তাঁরা কাবা গৃহের সংরক্ষক ও তত্ত্বাবধায়ক। অতএব তাদের সমকক্ষ আরব ভূখন্ডে কেউ নেই।

ইয়াসরিবের ইহুদী-নাসারাদের অবস্থা

অপর পক্ষে যারা ইহুদী-নাসারা ছিল, যারা প্রধানতঃ ইয়াসরিবে বসবাস করত, যারা অত্যাচারী রাজা বখত নসর কর্তৃক কেনান থেকে উৎখাত হওয়ার পরে ইয়াসরিবে এসে বসবাস শুরু করেছিল এই উদ্দেশ্যে যে, তারা বায়তুল মুক্কাদ্দাস হারিয়েছে। অতএব তারা এখন বায়তুল্লাহর নিকটবর্তী থাকবে এবং নিয়মিত হজ্জ-ওমরাহর মাধ্যমে পরকালীন পাথেয় হাসিল করবে।
দ্বিতীয় উদ্দেশ্য ছিল যে, আখেরী নবীর আবির্ভাব যেহেতু মক্কায় হবে এবং তার আবির্ভাবের সময় আসন্ন, অতএব তারা দ্রুত তার দ্বীন কবুল করবে এবং তার নেতৃত্বে আবার বায়তুল মুক্বাদ্দাস দখল করবে। তবে তাদের ধারণা ছিল এই যে, আখেরী নবী অবশ্যই তাদের বংশ থেকেই হবেন। কিন্তু তা না হওয়াতেই হল যত বিপত্তি।

প্রাক ইসলামী আরবের সামাজিক অবস্থা

নারীদের অবস্থা

তৎকালীন আরবে বিভিন্ন শ্রেণীর লোকজন বসবাস করত। সেখানকার অভিজাত শ্রেণীর লোকদের অবস্থা তুলনামূলকভাবে খুবই উন্নত ছিল। পুরুষ প্রধান সমাজ ব্যবস্থা থাকলেও নারীদের ছিল মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান। পরিবারে পুরুষ ও মহিলাদের পারস্পরিক সম্পর্ক ছিল মর্যাদা ও ন্যায় ভিত্তিক ব্যবস্থার উপরে প্রতিষ্ঠিত।

অপর পক্ষে সাধারণ ও দরিদ্র শ্রেণীর আরবদের মধ্যে ছিল এর বিপরীত চিত্র। তাদের মধ্যে চার ধরনের বিবাহ চালু ছিল। এক ধরনের ছিল অভিজাত শ্রেণীর মত পারস্পরিক সম্মতি ও মোহরানার বিনিময়ে বিবাহ পদ্ধতি। কিন্তু বাকী তিনটি পদ্ধতিকে বিবাহ না বলে স্পষ্ট ব্যভিচার বলা উচিত।

গোত্রীয় সমাজ ব্যবস্থা

আরবদের সামাজিক ব্যবস্থা গোত্র প্রধান হওয়ার কারণে বংশীয় ও আত্মীয়তার সম্পর্ককে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হত। মারামারি ও হানাহানিতে জর্জরিত উক্ত সমাজে কেবল গোত্রীয় ঐক্যের সুদৃঢ় বন্ধনের উপরে নির্ভর করেই তাদের টিকে থাকতে হত। ন্যায়-অন্যায় সবকিছু নির্ণীত হত গোত্রীয় স্বার্থের নিরিখে। আজকালকের কথিত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সমাজ ব্যবস্থায় যে উৎকট দলতন্ত্র আমরা লক্ষ্য করছি, তা জাহেলী আরবের গোত্রীয় সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে অনেকটা তুলনীয়।
গোত্র সমূহের মধ্যে প্রায়ই যুদ্ধ-বিগ্রহ লেগে থাকত। সেকারণ তারা অধিক সংখ্যায় পুত্র সন্তান কামনা করত। অধিক সংখ্যক ভাই ও পুত্র সন্তানের মালিককে সবাই সমীহ করত। যুদ্ধে পরাজিত হলে নারীদের লুট করে নিয়ে যাওয়ার ভয়ে অথবা দরিদ্রতার কারণে অনেকে কন্যা সন্তানকে শিশুকালেই হত্যা করে ফেলত।

মক্কায় দারুন নাদওয়া ছিল বিখ্যাত। তাদের মধ্যে মদ্যপানের ব্যাপক প্রচলন ছিল। যুদ্ধ ও পেশীশক্তিই বিজয় লাভের মানদন্ড ছিল। আরবের সামাজিক অবস্থাকে এক কথায় বলতে গেলে জোর যার মুল্লুক তার নীতিতে পরিচালিত হত।

প্রাক ইসলামী আরবের অর্থনৈতিক অবস্থা

ব্যবসা ছিল তাদের প্রধান অবলম্বন। ত্বায়েফ, সিরিয়া, ইয়ামন প্রভৃতি উর্বর এলাকা ছাড়াও অন্যত্র পশু-পালন জনগণের অন্যতম প্রধান অবলম্বন ছিল। উট ছিল বিশেষ করে দূরপাল্লার সফরের জন্য একমাত্র স্থল পরিবহন।মক্কার ব্যবসায়ীগণ শীতকালে ইয়ামনে ও গ্রীষ্মকালে সিরিয়ায় দূরপাল্লার ব্যবসায়িক সফর করত। আর্থিক লেনদেনে সুদের প্রচলন ছিল।

গৃহের আঙিনায় বসে সুতা কাটার কাজে অধিকাংশ আরব মহিলাকে নিয়োজিত দেখা যেত। কোন কোন এলাকায় কৃষিকাজ হত। ছোলা, ভুট্টা, যব ও আঙ্গুরের চাষ হত। মক্কা-মদীনায় গমের চাষ ছিল না। আমীর মুআবিয়ার খেলাফতকালে প্রথম সিরিয়া থেকে মদীনায় গম রফতানী করা হয়। খেজুর বাগান ব্যাপক হারে দেখা যেত। খেজুর ছিল তাদের অন্যতম প্রধান উপজীবিকা।
পুঁজিবাদী অর্থনীতি চালু ছিল। যার ফলে সমাজে একদল উচ্চবিত্ত থাকলেও অধিকাংশ লোক বিত্তহীন ও মানবেতর জীবন যাপন করত। আরবীয় সমাজে উচ্চবিত্ত লোকদের মধ্যে মদ-জুয়া ইত্যাদির ব্যাপক প্রচলন ছিল। সেখানে বিত্তহীনরা দাস ও দাসীরূপে বিক্রয় হত ও মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য হত।

নৈতিক অবস্থা

উদার মরুচারী আরবদের মধ্যে নৈতিকতার ক্ষেত্রে দ্বিমুখী ধারা পরিলক্ষিত হত। একদিকে যেমন তাদের মধ্যে মদ্যপান, ব্যভিচার, মারামারি-হানাহানি লেগে থাকত। অন্যদিকে তেমনি দয়া, উদারতা, সততা, পৌরুষ, সৎসাহস, ব্যক্তিত্ববোধ, সরলতা ও অনাড়ম্বরতা, দানশীলতা, আমানতদারী, মেহমানদারী, প্রতিজ্ঞা পরায়ণতা ইত্যাদি সদগুণাবলীর সমাবেশ দেখা যেত।

তাদের কাব্য প্রিয়তার কাছে আধুনিক যুগের আরবী কবি-সাহিত্যিকরা কিছুই নয়। তৎকালীন আরবদের স্মৃতিতে ভুল কদাচিৎ হত।যাদের প্রখর স্মৃতিতে কুরআন ও হাদীস অবিকৃত অবস্থায় নিরাপদ থাকে এবং পরবর্তীতে তা লিখিত আকারে সারা বিশ্বে প্রচারিত হয়।
পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল আরব ভূখন্ডের মরুচারী মানুষেরা বিভিন্ন মানবিক দুর্বলতার অধিকারী হলেও তাদের মধ্যে উন্নত মানবিক গুণাবলীর বিকাশ ঈর্ষণীয়ভাবে পরিদৃষ্ট হত। এই ভূখন্ডেই হাযার হাযার নবী ও রাসূলের আগমন ঘটেছে। এই ভূখন্ডেই আল্লাহর ঘর কাবাগৃহ অবস্থিত। এই ভূখন্ড বাণিজ্যিক কারণে সারা বিশ্বের কেন্দ্রবিন্দু ছিল।

Source: AR-Rahiqul Maktum-Allama Safiur Rahman Mubarakpuri (Ra)
Sirat Ibna Hisam- Allama Ibna Hisham (Ra)

প্রাক ইসলামী আরবের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা : লেখকের মতামত

প্রিয় পাঠক আমরা আপনাদের সামনে প্রাক ইসলামী আরবের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা , ধর্মীয় অবস্থা, অর্থনৈতিক অবস্থা, তৎকালীন আরবের নারীদের অবস্থা সহ সামগ্রিক বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরলাম।

এ সংক্রান্ত আপনাদের যেকোনো মতামত বা প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম প্রয়োজনীয় আরও তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এবং আমাদের ফেসবুক পেজটিতে ফলো দিয়ে রাখুন। ধন্যবাদ।।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

‍বিজ্ঞাপন

Google

abcd

ক্যরিয়ার

ইসলামিক ইনফো বাংলা

আমাদের ফেসবুক পেইজ