মসজিদে নববী ও মদিনার ইতিহাস - ইয়াসরিব থেকে মদিনা
প্রিয় পাঠক, একজন মুসলমানের কাছে পৃথিবীর সবথেকে প্রিয় স্থান গুলোর
মধ্যে ২য় স্থান হচ্ছে পবিত্র মদিনা শরীফ। আজকে আমরা আপনাদের
সামনে আমাদের সকলের প্রিয় মদিনা শরীফের ইতিহাস এবং ইয়াসরিব থেকে
সোনার মদিনা কিভাবে হলো তা তুলে ধরব।
মদিনা শরীফের ইতিহাস, মসজিদে নববী নির্মাণ, মদিনায় মহানবী (সাঃ) এর হিজরত,
কিবলা পরিবর্তন, মসজিদে কুবা এবং সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের পোস্টটি শেষ
পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
মসজিদে নববী ও মদিনার ইতিহাস - ইয়াসরিব থেকে মদিনা
মদিনা মুনাওরাহ মুসলিম উম্মাহর কাছে দ্বিতীয় পবিত্রতম শহর এবং আল্লাহর রাসূল
সা:-এর প্রিয়তম আবাসভূমি। তিনি বলতেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি মদিনাকে আমাদের কাছে
প্রিয় করে দিন, যেমনিভাবে প্রিয় করেছেন মক্কাকে, বরং তার চেয়েও বেশি প্রিয় করে
দিন।’ (সহীহ বুখারী, হাদীস: ১৮৮৯)
পবিত্র মদিনাঃ বিস্তারিত
মদিনা যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ?
মদিনা থেকেই মূলত বিশ্বব্যাপী ইসলাম ধর্মের প্রসার ঘটে। ইসলামের সর্বপ্রথম
আনুষ্ঠানিক ইবাদতস্থল মসজিদে কুবা এবং দ্বিতীয় পবিত্রতম মসজিদ মসজিদে নববী এ
শহরে অবস্থিত। তা ছাড়া, রাসূল সা: মদিনার মাটিতে আজও শুয়ে আছেন। এরকম আরো বহু
কারণে মদিনা মুসলমানদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মদিনা নামের ইতিহাস খুব
লম্বা নয়; হিজরতের পরে রাসূল সা: শহরটির নাম মদিনা মুনাওরাহ রাখেন। এর আগে তার
নাম ছিল ইয়াসরিব।
মদিনার পূর্বনাম ইয়াসরিব
রাসূল সা: মদিনায় আসার আগে এ নগরীর নাম ছিল ইয়াসরিব। ইয়াসরিব ছিল হজরত নুহ
আ:-এর এক ছেলের নাম। তাঁর সময়ে জনমিতি বেড়ে যাওয়ায় তিনি মদিনায় এসে বসবাস শুরু
করেন। তাঁর নাম অনুসারে এ শহরের নাম ইয়াসরিব রাখা হয়।
ইয়াসরিব থেকে সোনার মদিনা
নবীজি সা: যখন ইয়াসরিবে হিজরত করলেন তখন স্থানীয় সব ধর্মবিশ্বাসের ও সব গোত্রের
অধিবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁকে শান্তির দূত ও অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে। তাই
তিনি শুরুতেই ইয়াসরিবের মনস্তাত্ত্বিক অমঙ্গল দূর করতে এর নাম পরিবর্তনের
সিদ্ধান্ত নিলেন।
কেননা, ইয়াসরিব অর্থ অলক্ষুণে, কুলক্ষণে বা বিশৃঙ্খলা। শাব্দিক অর্থ বিবেচনা করে
রাসূল সা: হিজরতের পরপরই ইয়াসরিবের নাম পরিবর্তন করে এর নতুন নাম দেন ‘মদিনাতুন
নবী’ বা ‘নবীর নগরী’। পরে মানুষের মুখে মুখে এটি মদিনা মুনাওরাহ নামে পরিচিতি
পায়, যার বাংলা অর্থ আলোকিত নগরী বা আলোক শহর।
আরো পড়ুনঃ ১০০+ শিক্ষামূলক উক্তি । ত দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম । জ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম
ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্র শহর যেখানে মুসলমানদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কবর স্থান। এইটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ
কারণ হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) হিজরতের পরে মদিনায় বসবাস করেছেন।
ভৌগলিক অবস্থান
মদিনা নগরী সৌদি আরবের হিযায নামক অঞ্চলের পূর্বে অবস্থিত।সৌদি আরবের
উত্তর-পশ্চিমে এবং লোহিত সাগরের পূর্বে এই নগরীর অবস্থাণ।মদিনা অনেকগুলো পর্বত
দ্বারা পরিবেষ্টিত।পশ্চিমে আল হুজাজ পর্বত,উত্তর পশ্চিমে সালা,দখ্যিণে আল-ঈর এবং
উত্তরে ওহুদ পর্বত অবস্থিত।
আবহাওয়া
সাধারণতঃ মদিনার আবহাওয়া মহাদেশীয়; গ্রীষ্মে গরম ও শুকনা আর শীতকালে ঠান্ডা থেকে
মৃদু তাপমাত্রা বিরাজমান থাকে। গরমে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী থেকে ৪৭ ডিগ্রী সে. আবার
শীতের সময় হিমাঙ্কের নীচে নেমে যায়। আদ্রতা সারাবছর তুলনামূলক ৩৫%। বৃষ্টি
অপ্রতুল যা নভেম্বর ও মে মাসে হয়। শীতকালে বাতাস শান্ত থাকে আবার গরমের সময়
উত্তরের ধুলিময় ও ঝড়ো হাওয়া বয়।
মদিনায় মহানবী (সাঃ) এর হিজরত
হিজরত শব্দের সাধারণ অর্থ হচ্ছে পরিত্যাগ কিংবা পরিবর্জন । কিন্তু ইসলামী
পরিভাষায় হিজরত বলতে বুঝায় দ্বীন ইসলামের খাতিরে নিজের দেশ ছেড়ে এমন স্থানে গমন
করা যেখানে প্রয়োজন সমূহ পূর্ণ হতে পারে।
কারণ ইসলামী জীবন যাপন করার এবং আল্লাহর দ্বীনের দিকে আহ্বান জানানোর আজাদী যে
দেশে নেই, সে দেশকে শুধু আয়-উপার্জন ,ঘর-বাড়ি ,ধন-সম্পত্তি কিংবা আত্মীয়-স্বজনের
খাতিরে আঁকড়ে থাকা মুসলমানদের পক্ষে আদৌ জায়েয নয়। রাসূল (সা.) আগমনের আগে এক
সংকটময় মুহূর্ত অতিক্রম করেছিল আরবসহ সারাবিশ্ব।
ইতিহাসে তাকে আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগ বলা হয়। এ সময় সর্বত্র বিরাজ করছিল অশান্তির
দাবানল। এ ক্রান্তিকালীন কাণ্ডারি হয়ে এসেছিলেন আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ
(সা.)। প্রথমদিকে দ্বিধাবিভক্ত ও কলহপ্রিয় জাতিকে একটি আদর্শের ছায়াতলে নিয়ে আসতে
আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। মক্কাবাসী তাকে সাদরে গ্রহণ না করায় তিনি হিজরত করে
মদিনা চলে গিয়েছিলেন।
মদিনার অধিবাসীদের মধ্যে এক আত্মার বন্ধন সৃষ্টি করেছিলেন। ৬২২
খ্রীস্টাব্দের ২৪শে সেপ্টেম্বর নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মদিনা নগরীতে হিজরতের
করেন এবং মদীনা/মদীনায় ইসলামী রাষ্ট্রের প্রথম রাজধানী স্থাপন করেন। এসময়
সেখানে বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায় গুলোর মধ্যে ছিল গোষ্ঠীগত হিংসা-বিদ্বেষ।যাঁরা
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর রিসালাতকে স্বীকার করে এবং আখেরাতকে বিশ্বাস করে তাদের
সমাজে রাসূলের (সাঃ)-এর আদর্শ কালজয়ী হয়ে রইল।
সত্যিকারভাবে যারা আল্লাহর একত্ববাদের ওপর অটল বিশ্বাস রাখে এবং তদীয় রাসূল
(সাঃ)-এর জীবনাদর্শকে জীবনের একমাত্র অবলম্বন বলে মেনে নিয়েছে তারাই প্রকৃত
সফলতার দ্বারপ্রান্তে দণ্ডায়মান।প্রকৃতপক্ষে এই বাইয়াতকে ইসলামী রাষ্ট্রের
ভিত্তিপ্রস্তর বলা যায়। এভাবে যখন মদিনায় একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হল তখন রসূল
(সাঃ) এর মদিনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগ্রহ ও উৎসাহ বেড়ে গেল।
আরো পড়ুন: উকিল/অ্যাডভোকেট/ব্যারিস্টার হতে কি করবেন ? । হ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম । বাংলাদেশের ৬৬ তম জেলার নাম কি ?
তিনি মদিনায় এসে প্রথম যে কাজটি হাতে নিলেন তা হচ্ছে মসজিদ নির্মাণ। জমি
ক্রয় এরপর মসজিদে নববীর ভিত্তি স্থাপিত হল। পরবর্তী কালে এই মসজিদই ইসলামী
রাষ্ট্রের সভ্যতার কেন্দ্র ও উৎস হিসেবেই গড়ে তোলা হয়েছিল। মদিনায় রসূলূল্লাহ
(সাঃ) এর আগমনের সাথে সাথে আপনা-আপনি দাওয়াত সমপ্রসারিত হতে লাগলো।
কারণ যে সমন্ত মুহাজির মক্কা থেকে হিজরত করে এসেছিলেন তাদেরকে মদিনাবাসীরা
যেভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করেছিলেন ইতিহাসে তার দৃষ্টান্ত বিরল। মোহাজের ভাইদের
প্রতি আনসাদের ভালবাসা, সরল-সহজ আন্তরিকতা ও আত্মত্যাগের পরিচয়ও এতে পাওয়া যায়।
আবার পক্ষে মুহাজেররাও আনসাদের কাছ থেকে কোনরকম বাড়তি সুবিধা গ্রহণ করেননি।
মসজিদে নববী নির্মাণ
মদিনায় আগমনের পর সবচেয়ে প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল একটি মসজিদ নির্মাণ করা।
হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) যেখানে অবস্থান করছিলেন, তার নিকটেই দুই ইয়াতিমের কিছু
অনাবাদী জমি ছিল। নগদ মূল্যে তাদের কাছ থেকে এই জমিটি খরিদ করা হলো।
তারই ওপর মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হলো। এবারও হযরত(সাঃ) সাধারণ মজুরের ন্যায়
সবার সাথে মিলে কাজ করলেন। স্বহস্থে তিনি ইট-পাথর বয়ে আনলেন। মসজিদটি অত্যন্ত
সাদাসিদা ভাবে নির্মিত হলো। কাঁচা ইটের দেয়াল, খেজুর গাছের খুঁটি এবং খেজুর পাতার
ছাদ - এই ছিল এর উপকরণ। মসজিদের কিবলা হলো বায়তুল মুকাদ্দিসের দিকে।
আরো পড়ুন: রাজশাহী টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী । এসি প্রাইস ইন বাংলাদেশ । আইপিএস এর দাম ও আইপিএস ব্যটারির দাম
কেননা, তখন পর্যন্ত মুসলমানদের কিবলা ছিল ঐ দিকে। অতঃপর কিবলা কা’বামুখী হলে
তদনুযায়ী মসজিদের সংস্কার করা হলো। মসজিদের একপাশে একটি উঁচু চত্বর নির্মিত হলো।
এর নাম রাখা হলো ‘ সুফফা’। যে সব নও মুসলিমের কোন বাড়ি-ঘর ছিলো না। এটি ছিল তাদের
থাকবার জায়গা।মসজিদের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে তার নিকটেই হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তার
স্ত্রীদের জন্যে কয়েকটি কৌঠা তৈরি করে নিলেন। এগুলো কাঁচা ইট এবং খেজুর গাছ
দ্বারা নির্মিত হলো।
এই ঘরগুলো ছয়-সাত হাত করে চওড়া এবং দশ হাত করে লম্বা ছিল। এর ছাদ এতোটা
উঁচু ছিল যে, একজন লোক দাঁড়ালে তা স্পর্শ করতে পারতো। দরজায় ঝুলানো ছিল কম্বলের
পর্দা।হযরত(সাঃ) এর গৃহের নিকটে যে সব আনসার বাস করতো, তাদের ভিতরকার স্বচ্ছল
লোকেরা তার খেদমতে কখনো তরকারী , কখনো বা অন্য কিছু পাঠাতো। এর দ্বারাই তার দিন
গুজরান হতো, অর্থাৎ সংকটের ভেতর দিয়েই তার জীবন-যাত্রা নির্বাহ হতো।
নির্মাণ প্রক্রিয়া
হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) মদিনা মসজিদের নির্মাণের জন্য নাজ্জার গোত্রের সাহল ও সোহাইল
নামক দুই জন বালকের নিকট থেকে প্রয়োজনীয় জমি ক্রয় করেন। এর ক্ষুদ্র একটি অংশে
বাসস্থান নির্মাণ করতঃ বাকী অংশে মদিনা মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তখন
মদিনা মসজিদের দেয়াল ছিল ৭ হাত উঁচু। ছাদকে শক্তিশালী ও মজবুত রাখার জন্য মদিনা
মসজিদের ৩৬টি খেজুর গাছকে স্তম্ভ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।
মসজিদের ছাদ নির্মিত হয়েছিল খেজুর পাতা দিয়ে। ছাদকে সুন্দর করার জন্য, রৌদ্র ও
বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য খেজুর পাতার উপর কাঁদামাটির আস্তরণ লেপে দেয়া হয়েছিল।
সে সময় মদিনা মসজিদে প্রবেশের জন্য ৩টি দরজা ছিল। প্রধান প্রবেশ পথটি ছিল দক্ষিণ
দিকে যা দিয়ে মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করতেন ও বাহির হতেন। পশ্চিম দেয়ালে ছিল
মসজিদের দ্বিতীয় প্রবেশ পথ যা "বাবে রহমত" নামে পরিচিত।
তৃতীয় প্রবেশ পথটি ছিল পূর্ব দেয়ালে যা দিয়ে মুহাম্মদ (সাঃ) এ মসজিদে
প্রবেশ করতেন। এ জন্য এটির নাম হয় "বাব উন নবী"। ঐতিহাসিক উইনসিংকের মতে, মদিনা
মসজিদের দরজা প্রস্তর নির্মিত ছিল। মদিনা মসজিদেই সর্ব প্রথম মেহরাব, মিম্বার,
আজান দেয়ার স্থান বা মিনার ও ওজুর স্থান সংযোজন করা হয়।
কিবলা পরিবর্তন
আমরা জানি যে, নবী (সা.) মক্কায় বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে নামায আদায় করতেন৷
তদ্রূপ মদীনাতেও হিজরাতের পরে ষোল মাস ঐ দিকে ফিরেই নামায আদায় করেছিলেন।
মুসলমানদের শত্রু ইয়াহুদীরা এই বিষয়কে একটি বাহানা হিসেবে ধরে ইসলামকে পরাস্ত
করতে চাইলো এবং বলল : "মুহাম্মদ (সা.) দাবী করছে যে, সে আলাদা একটি শরীয়ত ও
নিয়ম-কানুন এনেছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত তার কিবলা সেই ইয়াহুদীদের কিবলাই রয়েছে৷"
এই ধরনের আপত্তিমুলক কথা-বার্তা নবীর (সা.) অন্ত্যরে ব্যাথার উদ্রেক হল৷ তিনি
রাতে বাড়ী থেকে বেরিয়ে আসতেন এবং ওহীর অপেক্ষায় আসমানের দিকে তাকিয়ে থাকতেন৷
এমতবস্থায় সূরা বাকারার ১৪৪ নং আয়াত নাজিল হল এবং তাতে বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে
কিবলা পরিবর্তন করে কাবাকে কিবলা হিসেবে নির্দিষ্ট করার নির্দেশ আসলো৷
মসজিদে কুবা
হিজরতের পর মদিনার কেন্দ্রস্থলে পৌঁছার আগে হজরত নবী করিম (সাঃ) প্রথম কোবা নামক
পল্লীতে বনি আমর ইবনে আওফের মেহমান হন। এখানে তিনি ১৪ দিন অবস্থান করেন। এখানেই
তিনি সর্বপ্রথম মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কোবা পল্লীর এ মসজিদ খানাই ছিল
ইসলামের ইতিহাসে প্রথম মসজিদ। আল্লাহর ঘর মসজিদ নির্মাণের মাধ্যমেই প্রিয় নবীজী
(সাঃ) হিজরত-পরবর্তী সোনালি যুগের সূচনা করেন।
এভাবেই এক সময় মরুর রুগ্ন ইয়াসরিব ধীরে ধীরে সোনার মদিনায় পরিণত হলো। আর
এর মূল কারিগর ছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ(সা:)।
মসজিদে নববী ও মদিনার ইতিহাস - ইয়াসরিব থেকে মদিনা : লেখক এর মতামত
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আপনাদের সামনে মদিনা শরীফের ইতিহাস, মসজিদে নববী
নির্মাণ, মদিনায় মহানবী (সাঃ) এর হিজরত, কিবলা পরিবর্তন, মসজিদে কুবা এবং সে
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। পরবর্তীতে আমরা এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত
আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।
এ সংক্রান্ত আপনাদের যেকোনো মতামত বা প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট
করে জানাতে পারেন। এরকম প্রয়োজনীয় আরও তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি
ভিজিট করুন এবং আমাদের ফেসবুক পেজটিতে ফলো দিয়ে রাখুন। ধন্যবাদ।।
Source:
AR-Rahiqul Maktum
- Allama Safiur Rahman Mubarakpuri (Ra)
Sirat Ibna Hisam - Allama Ibna Hisham (Ra)