কুরবানীর অতীত বর্তমান - মৃত ব্যক্তির পক্ষে কুরবানীর নিয়ম
প্রিয় পাঠক প্রতিটি মুসলমানের জীবনে কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ
ঘটনা। মুসলমানেরা প্রতিবছরে কুরবানীর ঈদ বা পবিত্র ঈদ উল
আযহা পালন করে থাকেন। আজকে আমরা কুরবানীর অতীত বর্তমান এবং মৃত
ব্যক্তির পক্ষে কুরবানীর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আমাদের আদি পিতা হযরত আদম আলাইহিস সাল্লাম এর দুই পুত্র হাবিল এবং
কাবিল এর মাধ্যমে মূলত কুরবানীর সূত্রপাত হয়। তবে আমরা বর্তমানে যে
কুরবানি করে থাকে তা মূলত হযরত ইব্রাহিম ও হযরত ইসমাইল এর
মাধ্যমে সূচনা হয়। যা আজও সমগ্র বিশ্বের মুসলিমরা অত্যন্ত ধর্মীয় ভাব
গাম্ভীর্যের মাধ্যমে পালন করে থাকে।
কুরবানীর অতীত বর্তমান - মৃত ব্যক্তির পক্ষে কুরবানীর নিয়ম
কুরবানি কি?
কুরবানি শব্দটি ‘কুরবুন’ মূল ধাতু থেকে নির্গত ।অর্থ হলো- নৈকট্য লাভ করা,
প্রিয় বস্তুকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করা।শরিয়তের পরিভাষায়-নির্দিষ্ট
জন্তুকে একমাত্র আল্লাহ পাকের নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট
সময়ে নির্ধারিত নিয়মে মহান আল্লাহ পাকের নামে জবেহ করাই হলো কুরবানি।
কুরবানি ইসলামের অন্যতম এক নিদর্শন, তার হুকুমের ব্যাপারে ইমামদের মতবিরোধ
রয়েছে। জমহুর উলামাদের নিকট সুন্নতে মুয়াক্কাদা, হানাফি মাযহাবের মতে ওয়াজিব।
কুরবানীর অতীত ইতিহাস
কুরবানির ইতিহাস অতি প্রাচীন। জগৎ সৃষ্টির শুরুর দিকেই কুরবানির প্রচলন শুরু
হয়েছে। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা কুরবানির সে ঘটনা এভাবে তুলে ধরেছেন-
“আদম (আলাইহিস সালাম)-এর দুই পুত্রের (হাবিল ও কাবিলের) বৃত্তান্ত তুমি তাদেরকে
যথাযথভাবে শোনাও। যখন তারা উভয়ে কুরবানি করেছিল। তখন একজনের কুরবানী কবুল হল এবং
অন্য জনের কুরবানি কবুল হল না। (তাদের একজন) বলল, আমি তোমাকে অবশ্যই হত্যা করব।
(অপরজন) বলল, আল্লাহ তো সংযমীদের কুরবানিই কবুল করে থাকেন।” (সুরা মায়েদা : আয়াত
২৭)
“সে (হাবিল) বলল, যদি তুমি আমাকে হত্যা করতে আমার দিকে হস্ত প্রসারিত কর, তবুও
আমি তোমাকে হত্যা করতে তোমার প্রতি হস্ত প্রসারিত করব না। কেননা আমি বিশ্বজগতের
প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি।” (সুরা মায়েদা : আয়াত ২৮)
আরো পড়ুনঃ এসি প্রাইস ইন বাংলাদেশ । আইপিএস এর দাম ও আইপিএস ব্যটারির দাম । ভেরিকোসিল হলে কি বাচ্চা হয় না
তারপর থেকে প্রত্যেক যুগেই ধারাবাহিকভাবে কুরবানির এ বিধান সব শরিয়তেই বিদ্যমান
ছিল। মানব সভ্যতার সুদীর্ঘ ইতিহাস থেকে জানা যায়, পৃথিবীতে যুগে যুগে সব জাতি ও
সম্প্রদায়ের মানুষ কোনো না কোনোভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তার প্রিয়
বস্তু উৎসর্গ করতেন। আর আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে প্রিয়বস্তু উৎসর্গই আজকের
কুরবানি। এ কথার প্রমাণে মহান আল্লাহ বলেন-
“আমি প্রতিটি সম্প্রদায়ের জন্য (কুরবানির) নিয়ম করে দিয়েছি। তাদেরকে চতুষ্পদ
জন্তু হতে যে রিজিক দেওয়া হয়েছে সেগুলোর উপর তারা যেন আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে
(এই বিভিন্ন নিয়ম-পদ্ধতির মূল লক্ষ্য কিন্তু এক- আল্লাহর নির্দেশ পালন)। কারণ
তোমাদের মাবুদই একমাত্র উপাস্য। কাজেই তাঁর কাছেই আত্মসমর্পণ কর আর সুসংবাদ দাও
সেই বিনীতদেরকে।”(সুরা হজ : আয়াত ৩৪)
বর্তমান কুরবানির ঘটনা
মুসলিম উম্মাহ প্রতি বছর ১০ জিলহজ যে কুরবানি দিয়ে থাকেন, এর প্রচলন আসছে হযরত
ইবরাহিম আলাইহিস সালাম থেকে। আল্লাহ তাআলা প্রাণপ্রিয় সন্তানকে কুরবানির নির্দেশ
দিয়েছিলেন। হযরত ইবরাহিম (আঃ) সে হুকুম পালন করে সফল হয়েছিলেন। মুসলিম
মিল্লাতের পিতা হযরত ইবরাহিম (আঃ) এর কুরবানির পর থেকে উম্মতে মুসলিমাহ
আল্লাহর সন্তুষ্টি পেতে তাঁর এ নির্দেশ কুরবানির বিধান পালন করে আসছেন। কুরবানির
এ নির্দেশের বর্ণনা কুরআনে এভাবে ওঠে এসেছে-
“অতঃপর যখন সে তার সাথে চলাফেরা করার বয়সে পৌঁছল, তখন সে বলল, ‘হে প্রিয় বৎস, আমি
স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি তোমাকে যবেহ করছি, অতএব দেখ তোমার কী অভিমত?; সে বলল, ‘হে
আমার পিতা! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, আপনি তাই করুন। আমাকে ইনশাআল্লাহ আপনি
অবশ্যই ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন। অতঃপর বাবা-ছেলে উভয়েই যখন আনুগত্য প্রকাশ
করল এবং ইবরাহিম (আলাইহিস সালাম) তাকে জবেহ করার জন্য তাকে কাত করে শুইয়ে দিলেন।
তখন আমি ডেকে বললাম, ‘হে ইবরাহিম! তুমি তো স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করে দেখালে।
নিশ্চয়ই আমি এইভাবে সৎকর্মপরায়ণদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।নিশ্চয়ই এটা এক সুস্পষ্ট
পরীক্ষা। আর আমি তার (সন্তান কুরবানির) পরিবর্তে জবেহযোগ্য এক মহান জন্তু দিয়ে
(কুরবানি করিয়ে) তাকে (সন্তানকে) মুক্ত করে নিলাম।আর এ (কুরবানির) বিষয়টি
পরবর্তীদের জন্য স্মরণীয় করে রাখলাম।” (সুরা সাফফাত : আয়াত ১০২- ১০৮)
আরো পড়ুনঃ ১০০+ শিক্ষামূলক উক্তি । ত দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম । জ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম
হযরত ইবরাহিম (আঃ) এর বন্ধুত্ব মহান আল্লাহর প্রতি কত গভীর ছিল। তা একটু
চিন্তা করলেই বুঝা যায়। হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালাম যখন চলাফেরা করার বয়সে উপণীত
হলেন; তখন প্রায় ১০০ বছরের বৃদ্ধ হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম।
তখন তিনি আল্লাহ তাআলার পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন। সে সময় মিনা প্রান্তরে
প্রাণাধিক সন্তানকে কুরবানির নির্দেশ পালন করেছিলেন।আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নে
তাঁর মানসিকতা আল্লাহর কাছে কবুল হয়েছিল। যা আজও মুসলিম উম্মাহ প্রতিবছর জিলহজ
মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখ এ তিন দিনের যে কোনো একদিন পালন করে থাকেন। এই
বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পড়ুনঃ ইব্রাহিম আঃ এর কোরবানির ইতিহাস
মৃত ব্যক্তির পক্ষে কুরবানী
মূলত কুরবানী যথাসময়ে জীবিত ব্যক্তির তরফ থেকেই হওয়া বাঞ্ছনীয়। অবশ্য ইচ্ছা
করলে তার সওয়াবে জীবিত অথবা মৃত আত্মীয়-স্বজনকেও শরীক করতে পারে। যেহেতু আমরা
দেখি রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবাগণ নিজেদের এবং পরিবার-পরিজনদের তরফ থেকে
কুরবানী করতেন।
অনেকের ধারণা কুরবানী শুধু মৃত ব্যক্তিদের জন্য বা তাদের পক্ষ থেকে করা হবে। এ
ধারণা মোটেই ঠিক নয়। মৃত ব্যক্তির তরফ থেকে পৃথক কুরবানী করার কোন দলীল নেই। তবে
মৃত ব্যক্তিদের জন্য কুরবানী করা জায়েয ও একটি সওয়াবের কাজ। কুরবানী একটি
সাদকা। আর মৃত ব্যক্তির নামে যেমন সদকা করা যায় তেমনি তার নামে কুরবানীও দেয়া
যায়। মৃতব্যক্তি এর দ্বারা উপকৃত হবে, ইনশাআল্লাহ। উপরন্তু, মৃতব্যক্তি এ ধরনের
পূণ্যকর্মের মুখাপেক্ষীও থাকে। যেমন, মৃত ব্যক্তির জন্য সাদকার বিষয়ে হাদীসে
এসেছেঃ
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (রা.) এর কাছে এসে জিজ্ঞের
করল, হে রাসূল! আমার মা হাঠাৎ ইন্তেকাল করেছেন। কোন অসিয়ত করে যেতে পারেননি।
আমার মনে হয় তিনি কোন কথা বলতে পারলে অসিয়ত করে যেতেন। আমি যদি এখন তার পক্ষ
থেকে সদকা করি তাতে কি তার সওয়াব হবে? তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। (সহীহ বুখারী,
হাদীস নং ১৩৩৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০০৪)।
মৃত ব্যক্তির জন্য এ ধরনের সদকা ও কল্যাণমূলক কাজের যেমন যথেষ্ট প্রয়োজন ও তেমনি
তার জন্য উপকারী।যদি কোন কারণে মৃত ব্যক্তির জন্য কুরবানী ওয়াজিব হয়ে থাকে
তাহলে তার জন্য পূর্ণ একটি কুরবানী করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় ব্যক্তি নিজেকে
বাদ দিয়ে মৃত ব্যক্তির জন্য মৃত ব্যক্তির পক্ষে কুরবানী করেন। এটা মোটেই ঠিক
নয়। ভাল কাজ নিজেকে দিয়ে শুরু করতে হয় তারপর অন্যান্য জীবিত ও মৃত ব্যক্তির
পক্ষ থেকে করা যেতে পারে । যেমন হাদিসে এসেছে-
আয়েশা (রা.) ও আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন কুরবানী
দিতে ইচ্ছা করলেন তখন দু‘টো দুম্বা ক্রয় করলেন। যা ছিল বড়, হৃষ্টপুষ্ট,
শিংওয়ালা ,সাদা-কালো বর্ণের এবং খাসি। একটি তিনি তার ঐ সকল উম্মতের জন্য কুরবানী
করলেন। যারা আল্লাহর একত্ববাদ ও তার রাসূলের রিসালাতের সাক্ষ্য দিয়েছে, অন্যটি
তার নিজের ও পরিবারবর্গের জন্য কুরবানী করেছেন। (ইবনে মাজাহ)
মৃত ব্যক্তি যদি তার এক তৃতীয়াংশ সম্পদ থেকে কাউকে কুরবানী করার অসিয়ত করে যান,
অথবা কিছু ওয়াকফ করে তার অর্জিত অর্থ থেকে কুরবানীর অসিয়ত করে যায়, তবে তার
অসীর জন্য ঐ মৃতের কুরবানী করা ওয়াজিব হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে কুরবানী না করে ঐ
অর্থ সাদকাহ খাতে ব্যয় করা বৈধ নয়। করণ, তা সুন্নাহর পরিপন্থী এবং অসিয়তের
রূপান্তর। অন্যথা, যদি কুরবানীর জন্য অসিয়তকৃত অর্থ সংকুলান না নয়, তাহলে দুই
অথবা ততোধিক বছরের অর্থ একত্রিত করে কুরবানী দিতে হবে। অবশ্য নিজের তরফ থেকে বাকী
অর্থ পূরণ করে কুরবানী করলে তা সর্বোত্তম ।
একাধিক মৃতব্যক্তিকে একটি মাত্র কুরবানীর সওয়াবে শরীক করাও বৈধ; যদি তাদের মধ্যে
কারো ওপর কুরবানী ওয়াজিব না হয়ে থাকে তবে। রাসূল (সা.) নিজের তরফ থেকে,
পরিবার-পরিজনের তরফ থেকে এবং তার উম্মতের তরফ থেকে কুরবানী করেছেন; যারা আল্লাহর
জন্য তাওহীদের সাক্ষ্য দিয়েছে এবং তার জন্য রিসালাত বা প্রচারের সাক্ষ্য
দিয়েছে। (মুসনাদ আহমদ, ৬/৩৯১-৩৯২) এখানে উল্লেখ্য যে, ঐ সাক্ষ্য প্রদানকারী কিছু
উম্মত তার যুগেই মারা গিয়েছিল। অতএব একই কুরবানীতে কেউ নিজ মৃত পিতা-মাতা ও
দাদা-দাদীকেও সওয়াবে শামিল করতে পাবে।
আরো পড়ুন: উকিল/অ্যাডভোকেট/ব্যারিস্টার হতে কি করবেন ? । হ দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম । বাংলাদেশের ৬৬ তম জেলার নাম কি ?
তবে একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, একটি কুরবানীকে নিজের তরফ থেকে না দিয়ে
কেবলমাত্র মৃতের জন্য নির্দিষ্ট করা ঠিক নয় এবং এতে আল্লাহ তা‘আলার সীমাহীন
করুণা থেকে বঞ্চিত হওয়া উচিত নয়। বরং উচিত হচ্ছে, নিজের নামের সাথে জীবিত-মৃত
অন্যান্য আত্মীয়-পরিজনকে কুরবানীর নিয়তে শামিল করা। যেমন- আল্লাহর নবী (সা.)
কুরবানী যবেহ করার সময় বলেছেন, ‘হে আল্লাহ! এ (কুরবানী) মুহাম্মাদের তরফ থেকে
এবং মুহাম্মাদের বংশধরের তরফ থেকে।’ সুতরাং তিনি নিজের নাম প্রথমে নিয়েছেন এবং
সেই সঙ্গে বংশধরদেরকেও তার সওয়াবে শরীক করেছেন।
রাসূল (সা.)-এর পক্ষ থেকে কুরবানী
তিরমিযী ও আবূ দাউদে আলী (রা.) বর্ণিত একটি যঈফ হাদীসে আছে যে, তিনি
রাসূল (সা.)
এর পক্ষ থেকে কুরবানী করতেন। তাকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন যে, তাকে
রাসূল (সা.) ঐ কুরবানী দেওয়ার জন্য অসিয়ত করে গেছেন। (যঈফ আবূ দাউদ, হাদীস নং
৫৯৬; যঈফ তিরমিজী, হাদীস নং ২৫৫; যঈফ ইবনু মাজাহ, হাদীস নং ৬৭২; মিশকাত, হাদীস নং
১৪৬২ )
আরো পড়ুন: রাজশাহী টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী । রেডমি মোবাইল প্রাইস - ২০২৫ । ফ্রি টাকা ইনকাম নগদে পেমেন্ট
রাসূল (সা.)এর অসিয়ত সংক্রান্ত যঈফ হাদীসটি ব্যতীত এ পৃথিবীর আর কোন হাদীস কিংবা
এক লাখেরও বেশী সাহাবীর জীবনী দ্বারা এটা জানা যায় না যে, কোন সাহাবী কিংবা
তাবেঈ‘ ও কোন মুসলীম মনীষী নবী (সা.) এর তরফ থেকে কুরবানী দিয়েছেন। উপরোক্ত যঈফ
হাদীসের ভিত্তিতে যদি কেউ নবী (সা.) এর তরফ থেকে কুরবানী দিতে চায় তবে সে দিতে
পারে।
কুরবানীর অতীত বর্তমান - মৃত ব্যক্তির পক্ষে কুরবানীর নিয়ম : লেখকের মতামত
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আপনাদের সামনে কুরবানীর অতীত বর্তমান , মৃত
ব্যক্তির পক্ষে কুরবানীর নিয়ম , রাসুল(সাঃ) এর পক্ষ থেকে
কুরবানী ইত্যাদি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আশা
করি এ সংক্রান্ত আপনাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর আপনারা পেয়েছেন।
এ সংক্রান্ত আপনাদের যেকোনো মতামত বা প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট
করে জানাতে পারেন। এরকম প্রয়োজনীয় আরও তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি
ভিজিট করুন এবং আমাদের ফেসবুক পেজটিতে ফলো দিয়ে রাখুন। ধন্যবাদ।।
Sundor post❤️
ধন্যবাদ 💕