চারিত্রিক সনদ লেখার ‍নিয়ম - নাগরিকতার সনদ - আয়ের সনদ

আমাদের জীবনে চলার পথে বিভিন্ন কাজে আমাদের চারিত্রিক সনদ , নাগরিকতার সনদ এবং আয়ের সনদ এর প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু আমরা চারিত্রিক সনদ লেখার ‍নিয়ম, নাগরিকতার সনদ এবং আয়ের সনদ কিভাবে লিখবো তা জানিনা। 
চারিত্রিক সনদ নাগরিকতার সনদ এবং আয়ের সনদ লিখার পদ্ধতি
চলুন প্রিয় পাঠক আজকে আমরা চারিত্রিক সনদ লেখার ‍নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। এই বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় পুরো পোষ্টটি অবশ্যই মনযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল। চারিত্রিক সনদ লেখার ‍নিয়ম জানার পাশাপাশি আপনি নাগরিকতার সনদ এবং আয়ের সনদ লেখার নিয়মও জানতে পারবেন।

চারিত্রিক সনদ লেখার ‍নিয়ম - নাগরিকতার সনদ - আয়ের সনদ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র, ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন কাগজ পত্রের সাথে প্রয়োজন পড়ে চারিত্রিক সনদ ,নাগরিকতার সনদ এবং আয়ের সনদ এর। খুব সহজেই আজকে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে আপনি এই প্রয়োজনীয় কাগজগুলো তৈরী করবেন।

চারিত্রিক সনদ লেখার ‍নিয়ম

  1. চারিত্রিক সনদ পত্র
  2. (পেজ এর মাঝ বরাবর ২৪-২৬ ফ্রন্ট সাইজে বোল্ড এবং নিচে আন্ডার লাইন হবে।)
  3. এই মর্মে প্রত্যায়ন করা যাচ্ছে যে, (আপনার নাম) , পিতাঃ (আপনার পিতার নাম), মাতাঃ (আপনার মাতার নাম), গ্রামঃ (আপনার স্থায়ী ঠিকানা), পোষ্ট অফিসঃ (আপনার স্থায়ী ঠিকানা), থানা/উপজেলাঃ (আপনার স্থায়ী ঠিকানা), জেলাঃ (আপনার স্থায়ী ঠিকানা) । সে (আপনার ইউনিয়/ওয়ার্ডের নাম) এর স্থায়ী বাসিন্দা এবং জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক। আমি তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং জানি। সে সৎ এবং নৈতিক চরিত্রের অধিকারী।আমার জানামতে সে রাষ্ট্রদ্রোহী কোন প্রকার কার্যকলাপের সাথে জড়িত নাই।
  4. আমি তাহার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল ও উন্নতি কামনা করছি।
  5. তারিখঃ( নির্দিষ্ট তারিখ দিবেন। তারিখ নিচে বাম দিকে হবে)
  6. চেয়্যারম্যান/কাউন্সিলর এর স্বাক্ষর
  7. (স্বাক্ষর নিচে ডান দিকে তারিখ বরাবর হবে)
চারিত্রিক সনদ পত্র

নাগরিকতার সনদ লিখার পদ্ধতি

  1. নাগরিকতার সনদ পত্র 
  2. (পেজ এর মাঝ বরাবর ২৪-২৬ ফ্রন্ট সাইজে বোল্ড এবং নিচে আন্ডার লাইন হবে।)
  3. এই মর্মে প্রত্যায়ন করা যাচ্ছে যে, (আপনার নাম) , পিতাঃ (আপনার পিতার নাম), মাতাঃ (আপনার মাতার নাম), গ্রামঃ (আপনার স্থায়ী ঠিকানা), পোষ্ট অফিসঃ (আপনার স্থায়ী ঠিকানা), থানা/উপজেলাঃ (আপনার স্থায়ী ঠিকানা), জেলাঃ (আপনার স্থায়ী ঠিকানা) । সে (আপনার ইউনিয়/ওয়ার্ডের নাম) এর স্থায়ী বাসিন্দা এবং জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক। আমি তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং জানি। আমার জানামতে সে রাষ্ট্রদ্রোহী কোন প্রকার কার্যকলাপের সাথে জড়িত নাই।
  4. আমি তাহার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল ও উন্নতি কামনা করছি।
  5. তারিখঃ( নির্দিষ্ট তারিখ দিবেন। তারিখ নিচে বাম দিকে হবে)
  6. চেয়্যারম্যান/কাউন্সিলর এর স্বাক্ষর
  7. (স্বাক্ষর নিচে ডান দিকে তারিখ বরাবর হবে)

আয়ের সনদ লিখার পদ্ধতি

  • আয়ের সনদ পত্র 
  • (পেজ এর মাঝ বরাবর ২৪-২৬ ফ্রন্ট সাইজে বোল্ড এবং নিচে আন্ডার লাইন হবে।)
  • এই মর্মে প্রত্যায়ন করা যাচ্ছে যে, (আপনার নাম) , পিতাঃ (আপনার পিতার নাম), মাতাঃ (আপনার মাতার নাম), গ্রামঃ (আপনার স্থায়ী ঠিকানা), পোষ্ট অফিসঃ (আপনার স্থায়ী ঠিকানা), থানা/উপজেলাঃ (আপনার স্থায়ী ঠিকানা), জেলাঃ (আপনার স্থায়ী ঠিকানা) । সে (আপনার ইউনিয়/ওয়ার্ডের নাম) এর স্থায়ী বাসিন্দা এবং জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক।তিনি পেশায় একজন (আপনার পেশা)। তার মাসিক/বার্ষিক আয় 00000/=(কথায়) টাকা মাত্র। আমার জানামতে সে রাষ্ট্রদ্রোহী কোন প্রকার কার্যকলাপের সাথে জড়িত নাই।
  • আমি তাহার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল ও উন্নতি কামনা করছি।
  • তারিখঃ( নির্দিষ্ট তারিখ দিবেন। তারিখ নিচে বাম দিকে হবে)
  • চেয়্যারম্যান/কাউন্সিলর এর স্বাক্ষর
  • (স্বাক্ষর নিচে ডান দিকে তারিখ বরাবর হবে)

চারিত্রিক সনদ লেখার ‍নিয়ম : গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা

  • চারিত্রিক সনদ , নাগরিকতার সনদ এবং আয়ের সনদ সাধারণত ইউনিয়ন পরিষদ বা কাউন্সিলার অফিস থেকে নাগিরিকদের জন্য সরবরাহ করা হয় তবে সকল ক্ষেত্রে পাওয়া যেতে নাও পারে। সে ক্ষেত্রে আপনিই আপনার কম্পিউটারের মাধ্যমে চারিত্রিক সনদ লেখার ‍নিয়ম অনুযায়ী চারিত্রিক সনদ ,  নাগরিকতার সনদ এবং আয়ের সনদ তৈরী করে আপনার স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে সত্যায়িত করে নিতে পারবেন।
  • চারিত্রিক সনদ, নাগরিকতার সনদ এবং আয়ের সনদ অবশ্যই A4 কাগজে নিতে হবে। চর্তুদিকে ১ ইঞ্চি পরিমান মার্জিন রাখতে হবে। 
  • টাইটেল হবে  ২৪-২৬ ফ্রন্টে বাকি সকল লেখা হবে ১২-১৪ ফ্রন্টে।
  • চারিত্রিক সনদ, নাগরিকতার সনদ, আয়ের সনদ সকল ক্ষেত্রেই অবশ্যই সঠিক তথ্য প্রদান করবেন। অসম্পূর্ণ কিংবা অসত্য কোন তথ্য প্রদান সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দণ্ডনীয়।

চারিত্রিক সনদ লেখার ‍নিয়ম - নাগরিকতার সনদ - আয়ের সনদ : লেখকের মতামত

আজকে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম। আশা করছি চারিত্রিক সনদ লেখার ‍নিয়ম , নাগরিকতার সনদ ,  আয়ের সনদ নিয়ে আপনি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। এখন থেকে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী চারিত্রিক সনদ লেখার ‍নিয়ম  অনুযায়ী চারিত্রিক সনদ লিখতে পারবেন।

এ সংক্রান্ত আপনাদের যেকোনো মতামত বা প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এরকম প্রয়োজনীয় আরও তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এবং গুগল নিউজে আমাদের পেজটিতে ফলো দিয়ে রাখুন। ধন্যবাদ।।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

ইসলামিক ইনফো বাংলা